সাই সুদর্শনের(Sai Sudarshan) ঝোরো ইনিংস এবং গুরুত্বপূর্ণ সময় প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার(Prasidh Krishna) গুরুত্বপূর্ণ দুটো উইকেটই এদিন পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছিল। ঘরের মাঠে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৫৮ রানে জয় গুজরাট টাইটান্সের। সেইসঙ্গেই লিগ টেবিলে শীর্ষস্থানে পৌঁছে গেল গুজরাটের টাইটান্সরা(Gujarat Titans)। একইসঙ্গে শুভমন গিলের নেতৃত্বের প্রশংসাও এদিন করতেই হয়। অধিনায়ক হিসাবে তাঁর কয়েকটা সিদ্ধান্ত এই ম্যাচে সকলেরই বেশ নজর কেড়েছে। শেষপর্যন্ত ১৫৯ রানেই শেষ হল রাজস্থান রয়্যালস।

এদিন টস জিতে গুজরাট টাইটান্সকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন রয়্যালস(Rajasthan Royals) অধনায়ক সঞ্জু স্যামসন(Sanju Samson)। আর সেটাই বোধহয় সবচেয়ে বড় ভুল ছিল তাঁর। শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন সাই সূদর্শন। ৫৩ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন। শুভমন অবশ্য এদিনও ২ রানেই সাজঘরে ফিরেছিলেন। তবে মিডল অর্ডারে জস বাটলারের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। শাহরুখ খানও করেন ৩৬ রান। শেষেক দিকে রশিদ খান এবং রাহুল তেওয়াটিয়ার হাত ধরে ২১৭ রানে পৌঁছয় গুজরাট টাইটান্স(Gujarat Titans)।

আইপিএলের মঞ্চে অবশ্য এই রানটাও এখন তেমন কিছু নয়। অন্তত সঞ্জু স্যামসন এবং শিমরন হেটমায়ারের(Shimron Hetmyer) পার্টনারশিপটা দেখে তো তেমনই মনে হচ্ছিল। ওপেনিংয়ে যশস্বী থেকে রিয়ান নীতিশ রানা, রিয়ান পরাগরা চূড়ান্ত ব্যর্থ। কিন্তু স্যামসন এবং হেটমায়ার যথন ক্রিজে ছিলেন, গুজরাত টাইটান্স খানিকটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছিল।

রশিদ খান থেকে সাই কিশোর, এই দুই ব্যাটারের সামনে সেভাবে এঁটে উঠতে পারছিলেন না। দুই তারকার ব্যাট থেকেই তখন ছিল শুধু চার আর ছয়ের ঝলক। সেই সময়ই শুভমন গিলের মোক্ষম চাল। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাকে(Prasidh Krishna) নিয়ে আসেন তিনি। আর তাতেই সাফল্য। সঞ্জু ফেরেন ৪১ রানে। ৩২ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেই থামতে হয় শিমরন হেটমায়ারকেও। এরপর ১৫৯ রানেই শেষ রাজস্থানের রয়্যালসরা।


–

–

–

–

–

–

–

–