মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee)বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ নিয়ে সরব তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। স্যোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, আইনি জট পাকিয়ে জটিলতা তৈরির চেষ্টা করছেন বিরোধীরা। এখন চাকরিহারাদের ঠিক করতে হবে তাঁরা কী চান। সুপ্রিম রায়ের পর থেকে প্রতি মুহূর্তে চাকরিহারাদের পাশে থেকেছে রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালয়ের (Supreme Court) রায়কে মর্যাদা দিয়েই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। এর মাঝেই সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা বিকৃত করে অপ্রচার চালানো হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, “মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা ভুলে গেলেন? নিটেও কেলেঙ্কারি হয়েছে। তবে সেসবে তো কারোর চাকরি যায়নি। শুধু বাংলায় কিছু হলেই চক্রান্ত? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। এই রায়ের পিছনে অন্য কোনও খেলা নেই তো?” এই কথার ভুল ব্যাখ্যা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন এক আইনজীবী। এই প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেল এবং ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা।

কুণাল জানান, কোনওভাবেই আদালত অবমাননার প্রসঙ্গ আসছেই না। আদালতের রায়ের কোনও অংশ যদি কারোর পছন্দ না হয় তিনি তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতেই পারেন। তার মানে এটা নয় যে আদালত অবমাননা করা হচ্ছে। আসলে বিরোধীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ইস্যু নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। চাকরিহারাদের উদ্দেশে কুণাল ঘোষের প্রশ্ন,

১. মুখ্যমন্ত্রী এদের চাকরির সুরক্ষায় যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছেন তার মধ্যে জট পাকিয়ে এটাকে আটকে দেওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং এ জাতীয় নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। এটা একটা পরিকল্পিত প্রক্রিয়া যাতে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি সুরক্ষিত রাখতে যে যে ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাতে আইনি জটিলতা তৈরি করা যায়। চাকরিহারাদের কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনারা এই চক্রান্তের দিকে নজর রাখুন, এদের ফাঁদে পা দেবেন না। মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের স্বার্থে যে কাজে গতি আনতে চাইছেন, সেখানে এরা নানাভাবে মামলা, মোকদ্দমা করে নোটিশ দিয়ে আপনাদের সুরক্ষা প্রক্রিয়াতে দেরি করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

২. এই রাম-বামকে জনতা প্রত্যাখ্যান করেছে। এরা ভোটে আর পারছে না, তাই কোর্টে গিয়ে জটিলতা তৈরি করতে চাইছে।



৩. মুখ্যমন্ত্রী বিচারব্যবস্থার ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখেন। বিচারপতিদের সম্মান দেন। কিন্তু আদালতের কোনও রায় যদি বহু মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী হয় তাহলে রায়ের সেই অংশ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করা এবং তা পুনর্বিবেচনার কথা বলতেই পারেন। এর সঙ্গে আদালত অবমাননার কোনও সম্পর্ক নেই। বরং যাঁরা এটা বলছেন, তাঁরা মনে রাখবেন, বিচারপতিরা যখন বিচারপতির চাকরি ছেড়ে বিজেপির সাংসদ হয়ে যান তখনই সাধারণ মানুষের চোখে বিচার ব্যবস্থা ও তার
নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান জানিয়েই রায়ের যে অংশে বহু সংখ্যক মানুষের ক্ষতি হয়েছে তার পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন শুধু ওই মানুষগুলোর স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতেই।


–

–

–

–
–

–

–