রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে লোকসভা ভোট চলাকালীন রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য চায়নি, যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি চলে যাক। সেই কারণেই চটজলদি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিল রাজ্য সরকার। সেখানেও যোগ্য-অযোগ্য ভেদাভেদ না করে পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে যখন চাপান-উতোর শুরু হয়েছে, কার জন্য বাতিল হল ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি, তখনই একটি ভিডিও প্রকাশ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দেখিয়ে দিলেন, চাকরি কে খেয়েছিল? এক পোস্টেই তিনি মুখোশ খুলে দিলেন। দেখিয়ে দিলেন মুখ আর মুখোশ কোনটা।

কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি ভিডিও প্রকাশ করে চোখে আঙুল দিয়ে তিনি দেখালেন, শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের পিছনে কে ছিল! ভিডিওতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যাচ্ছে, যাদের চাকরি আমি খেয়েছিলাম আপাতত সুপ্রিম কোর্টের সামান্য একটা স্টে অর্ডারে তারা বেঁচে আছে, আশা করছি তারা শীঘ্রই মারা যাবে। এই ভিডিও প্রকাশ করেই কুণাল লেখেন, দেখুন। আজ বলছেন যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করার ফর্মুলা আছে। যেটা এসএসসিও বলছে। তাহলে সেদিন সকলের চাকরি খেয়ে ‘মেরে ফেলাটাই’ আসল উদ্দেশ্য ছিল তো?

২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় প্রথম দফায় ভোট হয়েছিল ১৯ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফার ভোট ছিল ২৬ এপ্রিল। এরই মাঝে ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল। যোগ্যদের চাকরি চলে যাক, তা রাজ্য সরকার চায়নি, তাই কালক্ষেপ না করে রাজ্য গিয়েছিল সুপ্রিম দরবারে। গত এক বছর ধরে একাধিক শুনানিতে ‘যোগ্য’ এবং ‘অযোগ্য’ বাছাই করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশে বহাল রাখেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। যারা যোগ্য, তাদের প্রতি এই রায়ে অবিচার হল। এই ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নেপথ্যে যে রাম-বাম চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক খেলা ছিল, তা বারবার স্পষ্ট হয়েছে। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভিডিও বার্তা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ফের।

চাকরি কে খেয়েছিল? দেখুন। আজ বলছেন যোগ্য অযোগ্য আলাদা করার ফর্মুলা আছে। যেটা SSCও বলছে। তাহলে সেদিন সকলের চাকরি খেয়ে ‘মেরে ফেলাটাই’ আসল উদ্দেশ্য ছিল তো? pic.twitter.com/c7zcFrUzqs
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 11, 2025
–


–

–

–

–

–

–

–
