নববর্ষের আগেই পুড়ে ছাই ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’র মোটিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় মৌলবাদী যোগ!

বাংলাদেশে (Bangladesh) বাঙালির ঐতিহ্য রক্ষায় হাসিনা আমলের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র বদলে ইউনূস শাসনকালে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ শুরুর আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Dhaka University) পুড়ে ছাই মূল অনুষ্ঠানের দুই মোটিফ। কীভাবে অগ্নিকাণ্ড তা স্পষ্ট না হলেও নববর্ষের আগে এই ঘটনায় মৌলবাদী যোগের আশঙ্কা করছেন পদ্মাপাড়ের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

পয়লা বৈশাখ দিনটি বাঙালির কাছে অত্যন্ত আবেগের। ১৯৮৬ সাল থেকে বাংলাদেশে নববর্ষের (Bengali New year celebration) প্রথম দিনে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়। ২০১৬ সালে এই সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ইউনেস্কোর তরফে ঐতিহ্যের স্বীকৃতিও পায়। তবে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে নববর্ষের শোভাযাত্রা হয়ে উঠেছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। জোর কদমে চলছিল প্রস্তুতি। তৈরি করা হয়েছিল দুটো বিশাল মোটিফ। শনিবার ভোরের দিকে আগুন লেগে যা পুড়ে প্রায় ছাই হয়ে গিয়েছে। পৌনে ৫টা থেকে ৫টার মধ্যে দুটি মোটিফে আগুন লেগেছে পারে বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ। মোটিফে হাসিনার মুখাবয়ব থাকায় আওয়ামি লিগের দিকে নিশানা করেছেন ইউনূস সরকারের এক উপদেষ্টা। অনুষদের যেখানে মোটিফ তৈরির কাজ চলছিল সেখানেও সরঞ্জাম পুড়েছে। অনেকেই মনে করছেন বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখের উদযাপন কোনদিনই ভালো চোখে দেখেনি মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যরা। ইতিহাস বলছে প্রায় দেড় দশক আগে ঢাকার রমনা বটমূলে নববর্ষের অনুষ্ঠানেই বোমাবাজি হয়েছিল। এবছর পয়লা বৈশাখ নিয়ে রীতিমত ‘ফতোয়া’ জারি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নববর্ষের আয়োজন থেকে মঙ্গল শব্দ বাদ দেওয়ার আহ্বান জানায় মৌলবাদী সংগঠন। এরপরই শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হয়। কিন্তু তাতেও সকলকে খুশি করা যায়নি। এরপর পরপরই মোটিফে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় মৌলবাদী যোগের অনুমান করছেন অনেকেই। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মুস্তফা সরয়ার ফারুকি দাবি করেছেন, আওয়ামি লিগ সভাপতি ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসররা চারুকলায় আগুন দিয়ে প্রতিকৃতি পুড়িয়েছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।