Wednesday, August 20, 2025

পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণে, তখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী: সুতির অশান্তিতে চক্রান্তের ইঙ্গিত!

Date:

ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। শুক্রবার অশান্তি ছড়ানোর পরে গুজবে ফের শনিবার অশান্তি ছড়ায় সামশেরগঞ্জে। যদিও দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় রাজ্য পুলিশ। রাজ্যের অনুরোধে বিএসএফও (BSF) এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাজ্য পুলিশকে সাহায্য করেছে। এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদের সুতি ও সামশেরগঞ্জে কেন্দ্রীয় বাহিনী (central force) মোতায়েনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। যে এলাকায় পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে সেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশে চক্রান্তের ছায়া স্পষ্ট। রাজ্যের বিজেপি নেতাদের উক্তিতেই সেই আভাস মিলেছিল, দাবি রাজ্যের শাসকদলের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শনিবার সন্ধ্যাতেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) পৌঁছে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (Rajeev Kumar, DGP)।

শুক্রবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়া ও পুলিশের একটা বড় অংশ আক্রান্ত ও আহত হওয়ার পরে রাজ্যের তরফ থেকেই বিএসএফ-এর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। বিএসএফ রাজ্যের অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য পুলিশকে সাহায্যও করে, জানান রাজ্যের আইনজীবী। বিএসএফ (BSF) ও রাজ্য পুলিশের (state police) যৌথ উদ্যোগে শনিবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

তারপরেও কেন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে মামলা করলেন বিরোধী দলনেতা, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। যেখানে রাজ্য নিজের প্রয়োজনে বিএসএফকে (BSF) ডেকে সাহায্য চেয়েছে, সেখানে কেন আদালত থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (central force) নির্দেশ আনা হল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেখানে রাজ্যের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ উঠেছে।

সারশেরগঞ্জের জাফরাবাদে একটি বাড়িতে দুষ্কৃতীরা ঢুকে দুজনকে হত্যা করে। হরগোবিন্দ দাসের বাড়িতে লুটপাঠ করতে যে দুষ্কৃতীরা ঢোকে তাদের বাধা দেয় হরগোবিন্দ ও তার পুত্র চন্দন দাস। তখনই তাদের খুন করা হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে বুলেট আক্রান্ত এক কিশোরেরও মৃত্যু হয় শনিবার। এই সব তথ্যই রাজ্যের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করা হয়। সেখানেই সামশেরগঞ্জে ও সুতি – এই দুই জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ।

এখানেই রাজ্যকে নিয়ে বিজেপির চক্রান্তের অভিযোগ শাসকদল তৃণমূলের। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, বিজেপির অভ্যন্তরীণ এজেন্সি এখানে কাজ করছে। স্থানীয় মানুষও জানেন না বিজেপির কতরকম এজেন্সি রয়েছে। প্ররোচনা দেওয়া, বিপথে চালিত করা, আঘাত করা, বিভিন্ন এজেন্সিকে এনে এলাকায় প্ররোচনা দিয়ে অস্থিরতা তৈরি করা, সেইটাকে আবার রাজনীতিতে এনে আদালতে যাওয়া – এগুলো বিজেপি করছে কি না সেটা তদন্তের বিষয়। এগুলো বিজেপির পরিকল্পিত কোনও চক্রান্ত কি না, তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

অন্যদিকে স্থানীয়রা দাবি করছেন, যারা হামলা চালিয়েছেন, তাঁদের আগে এলাকায় দেখা যায়নি। ফলে বহিরাগতদের হামলা চালানোর অভিযোগও উঠেছে। তারই জেরে ফের জোরালো হয়েছে বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে পরিকল্পিত অশান্তি তৈরি করার। সেই অশান্তি তৈরি করতে পারলেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকিয়ে রাজ্যকে অশান্ত দেখানোর চক্রান্ত সফল হবে, উঠেছে সেই আশঙ্কাও।

Related articles

টার্গেট বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরা! নয়া সংশোধনী বিল আনছে কেন্দ্র

ভোটের ময়দানে পরাস্ত করতে না পেরে এবার ঘুরপথে বিজেপি বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের টার্গেট করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার (Central...

ডুরান্ড সেমিতে আজ ডায়মন্ড বাহিনীর অঘটন নাকি লাল-হলুদ মশাল!

বুধের ময়দানে মেগা ম্যাচ। অস্কার ব্রুজোঁ (Oscar Bruzon) নাকি কিবু ভিকুনা (Kibu Vicuna), যুবভারতীর মাঠ আজ কার দাপট...

কেন্দ্রের তিন সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় আজ সকাল দশটায় বৈঠক ইন্ডিয়া ব্লকের

বুধবারই লোকসভায় (Loksabha) তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। আজই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন (সংশোধনী) বিল ২০২৫, সংবিধান...

মুম্বইয়ে মনোরেল বিভ্রাটে দু’ঘণ্টা ধরে আটকে ৪০০ যাত্রী!

মঙ্গলের সন্ধ্যায় মুম্বইয়ে মনোরেল বিভ্রাটে মাঝপথে থেমে গেল ট্রেন (Mumbai Monorail breaks down)। দু'ঘণ্টা ধরে আটকে রইলেন প্রায়...
Exit mobile version