Sunday, August 24, 2025

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতিই সার। বছর ঘুরে গেল, চালু হল না প্রকল্প, পড়ে রইল টাকা। ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ার পর ‘এমপ্লয়মেন্ট লিঙ্কড ইনসেনটিভ’ (Employment Linked Incentive) প্রকল্প আজও দিনের আলো দেখল না।

২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারসর্বস্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বড় মুখ করে ঘোষণা করেছিলেন, বেসরকারি সংস্থায় প্রথমবার চাকরি পেলে উৎসাহ-ভাতা দেবে তাঁর সরকার। সেইমতো গত ২০২৪-২৫ আর্থিক বাজেটে ওই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১০ হাজার কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) সংসদে ঘোষণা করেছিলেন, শুধু কর্মীদেরই নয়, নিয়োগ কর্তাদেরও সাহায্য করা হবে। কিন্তু সেই প্রকল্প কার্যকর হয়নি। বরাদ্দ টাকাও পড়ে রইল।

এই মর্মে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এক হাত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার আগে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বছরে দু’ কোটি কর্মসংস্থান। সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি। সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার গাল ভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাও ভাঁওতা। এবার সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করা প্রকল্প রূপায়ণেও ব্যর্থ হল মোদি সরকার। আসলে মোদির প্রতিশ্রুতি ‘জুমলা’। সোশ্যাল মিডিয়ার ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তাঁর প্রশ্ন, ২০২৪ সালে ভোটের পর ঢাক পিটিয়ে ঘোষণা করা হয়েছিল এমপ্লয়মেন্ট লিঙ্কড ইনসেনটিভ (Employment Linked Incentive)। সেখানে বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। সেজন্য উৎসব ভাতা দেবে সরকার। সাহায্য করবে নিয়োগকর্তাদেরও। কিন্তু কোথায় কী! ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ার পর বছর পার হয়ে গেল, কিন্তু প্রকল্প চালু হল না। এই তো নরেন্দ্র মোদি সরকারের অবস্থা।

রাহুলের সাফ কথা, শুধুমাত্র কর্পোরেট সেক্টরে কাজের সুযোগ তৈরি করলেই হবে না। অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও জোর দিতে হবে। এই সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে না।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version