বিকাশ ভবনের সামনে প্রচার হচ্ছে না! গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অনশন ‘রাজনৈতিক’ চাকরিহারাদের

বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা রিলে অনশন জারি রেখেছেন। আচমকাই শনিবার দেখা গেল তাঁরা নিজেদের স্থান বদল করে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির (Gandhi statue) পাদদেশে

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫২ শিক্ষক রাজ্য সরকারের উপর আস্থা রেখে সবথেকে বড় অংশ যোগ দিয়েছিল বিকাশ ভবনে (Bikash Bhavan) শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্ররোচনায় অনশনের (hunger strike) পথে এক শ্রেণীর চাকরিহারা শিক্ষকরা। আচমকাই বিকাশ ভবন ছেড়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে চাকরিহারাদের সেই অংশ।

শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। সেখানেই তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা অনশন করছেন না। রাজ্য সরকার যে আইনি প্রক্রিয়ায় তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই রেখেছে তাতেই আস্থা রেখেছেন শিক্ষকরা। তা সত্ত্বেও রাম-বামের প্ররোচনায় একশ্রেণীর শিক্ষক পা দিয়ে অনশনের (hunger strike) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এসএসসি দফতরের বাইরে বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা রিলে অনশন জারি রেখেছেন। আচমকাই শনিবার দেখা গেল তাঁরা নিজেদের স্থান বদল করে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির (Gandhi statue) পাদদেশে চলে আসেন।

কার্যত এসএসসি ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বৈঠকের পরে সেখানে আর নেই কোনও প্রচার মাধ্যম। ফলে সেখানে অনশন করে কোনও প্রচারই পাচ্ছিলেন না অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাই এবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশ, যা চাকরিহারাদের মঞ্চ হিসাবে পরিচিত, সেখানেই অনশনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক মদতপুষ্ট শিক্ষকদের।

আর জি কর আন্দোলনের নামে ঠিক যে ছকে চিকিৎসকদের ঢাল করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, এবারও তেমনি স্ক্রিপ্ট তৈরি হয়েছে এখানেও শিক্ষকদের অনশন আন্দোলনের পর ক্রমে ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করে ক্রাউড ফান্ডিং থেকে শুরু করে একগুচ্ছ দাবিদাওয়া নিয়ে চাকরি হারাদের মুখোশ করে গেরুয়া কমরেডরা সরকারের কাছে হাজির হবেন।