ক্ষুব্ধ ক্রীড়ামন্ত্রীর আইএসএলের ফাইনালে না যাওয়ারই সিদ্ধান্ত, টুইট করে জানালেন বাগান সহ সভাপতি

একেবারে শেষ মুহূর্তে আমন্ত্রণ। ব্যথিত এবং অসম্মানিত বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস(Arup Biswas) শেষপর্যন্ত আইএসএলের ফাইনালে(ISL FINAL) না যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিলেন। কার্যত বয়কট করলেন তিনি। এফএসডিএল(FSDL) তাঁকে আমন্ত্রণ না জানাতেই পারে। তবে নিজের দায়িত্ব কিন্তু যথাযথ ভাবে পালন করেছেন তিনি। তাঁর দপ্তর এবং সরকারের অন্যান্য বিভাগ ম্যাচের সফল আয়োজনের সমস্তরকম ব্যবস্থাই করে দিয়েছেন। তাঁর না যাওয়ার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতেই জানিয়েছেন মোহনবাগানের সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।

শনিবার সকালেই সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে ফাইনালে আমন্ত্রণ না জানানোর ব্যপারে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মোহনবাগানের(Mohunbagan) সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। একইসঙ্গে টুইটও করেছিলেন। কল্যাণ চৌবের(Kalyan Chaubey) বিরুদ্ধে রাজনীতিকরণেরই অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এরপরই মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুতে সচিব দেবাশিস দত্তের(Debashis Sutta) সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সহ সভাপতি।

এরপরই এফএসডিএলকে চাপ দেন মোহনবাগান(Mohunbagan) সচিব। শেষপর্যন্ত বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রীকে  ইমেল করে আমন্ত্রণ জানানো হয় এফএসডিএলের তরফে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। এফএসডিএলের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস(Arup Biswas)।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মোহনবাগানের সহ সভাপতি জানিয়েছেন, “আজ যুবভারতী বয়কটই করছেন বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যুবভারতীতে ফাইনাল, অথচ ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করেনি আয়োজক এফএসডিএল। সকালে আমি টুইট করার পর এবং মোহনবাগান সচিবকে বলার পর তিনি চাপ দেন আয়োজকদের। তারপর এফএসডিএল মন্ত্রীকে ইমেলে আমন্ত্রণ জানায়। এটা বিলম্বিত আমন্ত্রণ এবং অসৌজন্যের। বাংবার ক্রীড়ামন্ত্রীকে অসম্মানও বটে। ফলে অরূপ বিশ্বাস সেই ইমেলে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে তাঁর দপ্তর ও সরকারের অন্যান্য বিভাগ ম্যাচের সফল আয়োজনের জন্য সবরকম প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন”।

মোহনবাগানের(Mohunbagan) ঘরের মাঠে ম্যাচ। যুবভারতীতে ম্যাচ হচ্ছে। যে ক্রীড়ামন্ত্রী এবং দপ্তরের সহায়তায় সমস্ত ব্যবস্থা সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে। তাঁকেই আমন্ত্রণ না জানানো। আবার প্রতিবাদ হওয়ার পর দুপুরের সময় আমন্ত্রণ। ফেডারেশন এবং এফএসডিএলের এম ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, প্রশ্ন ওঠাটাই তো স্বাভাবিক।