ওয়াকফ আইনের (Waqf bill) বিরোধিতায় অশান্ত মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণে ঠিক তখনই মোতায়েন হল কেন্দ্রীয় বাহিনী (CRPF)। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশমতো পুলিশকে সাহায্য করতে নামলো আধাসেনা। সাত কোম্পানি সেনা নামানো হয়েছে বলে খবর। রাতভর চলে টহলদারি। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বহরমপুরে পৌঁছে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (Rajib Kumar) । জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলার পর জঙ্গিপুরে যান তিনি। রাতেই সেখানে বিএসএফের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের (WB Police) বৈঠক হয়। এর পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব শনিবার রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ এবং ডিজিপি রাজীব কুমারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন। সুতি এবং সামশেরগঞ্জ জুড়ে অতি স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ বাহিনীর রুটমার্চ শুরু হয়। কোনও প্ররোচনা বা গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ রাজ্য পুলিশের। শনিবার রাতের পর রবিবার সকালেও বেশ কিছু জায়গায় জটলার খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে নতুন করে কোনও উত্তেজনা তৈরি হয়নি। রবিবার সকালে সেখানে পৌঁছেছেন সিদ্ধিনাথ গুপ্তা ও বিনীত গোয়েল।

কেন্দ্রের ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্ররোচনা এবং ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ার কারণে অশান্তি বাড়ছে। কোথাও কোথাও পরিস্থিতি হিংসাত্মক আকার নিয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে শান্তিরক্ষার বার্তাও দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রশাসনিক প্রধান জানিয়েছেন হিংসায় যাঁরা উস্কানি দিচ্ছেন তাঁদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। একই কথা শোনা গেছে রাজ্যের ডিজি এবং এডিজির মুখেও। শুক্রবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়া ও পুলিশের একটা বড় অংশ আক্রান্ত ও আহত হওয়ার পরে রাজ্যের তরফ থেকেই বিএসএফ-এর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। বিএসএফ রাজ্যের অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য পুলিশকে সাহায্যও করে। শনিবার যখন পরিস্থিতি সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ঠিক তখনই বিজেপি নেতার দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তে চক্রান্তের অভিযোগ করছে রাজ্যের শাসক দল। শনিবার হাইকোর্টে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং রাজা বসু চৌধুরী ডিভিশন বেঞ্চ মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ার পর স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে রাজ্যের ক্ষমতায় তারা কোন হস্তক্ষেপ করবে না। শুধুমাত্র পুলিশের কাজে সাহায্য করতে পারবে। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই রাজ্য এবং কেন্দ্রের বাহিনী সংবেদনশীল জেলাগুলির দিকে নজর রাখছে।

–

–



–


–

–

–

–
–

–
