রাজ্যের সরকার যেখানে আলোচনা ও আইনি পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের (SSC teachers) পাশে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে সেখানে গেরিলা কায়দায় সরকারি দফতরে হামলা চালিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনকে আর জি কর আন্দোলনের রূপ দেওয়ার চেষ্টায় তৎপর এক শ্রেণির শিক্ষকরা। স্বভাবতই কাদের প্ররোচনায় তারা এই ধরনের আন্দোলনের পথে তাও স্পষ্ট গিয়েছে মিছিলের মুখ থেকে। কসবা ডিআই (Kasba DI office) অফিসে হামলা চালানোও যে সম্পূর্ণ পরিকল্পিত সেই বিভ্রান্তি ছড়ানো গোষ্ঠীর, তা ঘটনাস্থলের ভিডিও-তেই স্পষ্ট। বাইরে থেকে এক শ্রেণির ‘হামলাকারী’দের এনে যেভাবে সরকারি দফতরে সরকারি সম্পত্তি ও পুলিশের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছিল, এবার তাতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। ডাকা হতে পারে বহিরাগত (outsider) চিহ্নিত হামলাকারীদের।

ইতিমধ্য়েই শিক্ষক সমাজ স্পষ্ট করে দিয়েছে তাঁরা অনশনের পথে নেই। অর্থাৎ সেখানেই স্পষ্ট এক শ্রেণির শিক্ষকদের কিছু রাজনৈতিক দল প্ররোচনা দিয়ে ভুল পথে চালিত করছে। সেই প্ররোচনারই একটা প্রতিফলন কসবা ডিআই অফিসে ঘটেছিল বলে দাবি শিক্ষকদের একাংশের। সেখানে যে বহিরাগতরা ছিল তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা (Manoj Verma, CP, Kolkata Police)। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে তিনি নাম প্রকাশ করেননি।

তবে বিভিন্ন মাধ্যমে যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল তা থেকে বহিরাগতদের চিহ্নিত করে ফেলা কোনও কঠিন কাজ নয়। সেই মতোই তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রকাশ করেছিলেন আট জনের নাম। তাঁরা ছিলেন – ১. চিন্ময় মণ্ডল, হালিশহর আদর্শ বিদ্যাপীঠ স্কুল, জেলা নদিয়া। ২. মহম্মদ গোলাম গউস মণ্ডল, ধোসা চন্দনেশ্বর এনসি হাইস্কুল, জেলা বর্ধমান। ৩. হুমায়ুন ফিরোজ মণ্ডল, এমবিএস নেওড়া হাইস্কুল, জেলা উত্তর ২৪ পরগনা। ৪. আজহারউদ্দিন হালদার, কলস হাইস্কুল, জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ৫. ধীতিশ মণ্ডল, সিনহেরদানরি কেদারনাথ হাইস্কুল, জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ৬. কিশোর মজুমদার, শাদি খান্স ডিয়ার বিদ্যানিকেতন, জেলা মুর্শিদাবাদ। ৭. মামুম রশিদ, করঞ্জলি বিকে ইনস্টিটিউশন, জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ৮. হানজেলা শেখ, শান্তিগড় নিভানানি স্মৃতি বিদ্যাপীঠ, জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা।

এবার এই শিক্ষকদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করবে কলকাতা পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান পরিকল্পিতভাবেই এঁদের (outsiders) কসবার ডিআই (Kasba DI office) অফিসে নিয়ে আসা হয়। তার পিছনে কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে তার তদন্ত চালানো হবে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে। কোনও রাজনৈতিক দলের প্ররোচনা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।



–


–

–

–

–
–

–
