নামমাত্র বৃদ্ধি! শিশুদের পুষ্টিতে বঞ্চনা করে মিড ডে মিলে ‘ হাস্যকর ‘ বরাদ্দ কেন্দ্রের

২০২২ সালের পর দীর্ঘ গতবছর নভেম্বরে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক দুই খাতে মাথাপিছু মাত্র ৭০-৭৫ পয়সা করে বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর আবার এই খাতে নামমাত্র মূল্য বাড়াল কেন্দ্র। যাতে জলও গরম হয় না। প্রাথমিক এবং উচ্চপ্রাথমিকে মাথাপিছু যথাক্রমে ৫৯ পয়সা এবং ৮৮ পয়সা বৃদ্ধি করা হল।

যদিও এই পরিমাণ বৃদ্ধিতে তেমন খুশি নয় শিক্ষামহলের একাংশ। বর্তমান সময়ে যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি করছে কেন্দ্রীয় সরকার সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মিড ডে মিলে এই নূন্যতম অর্থ বরাদ্দ একেবারেই মূল্যহীন। এই সামান্য অর্থ বরাদ্দ করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা কেন্দ্রের। আবাসের টাকা, ১০০ দিনের টাকার পর এবার পড়ুয়াদের পুষ্টিতেও বঞ্চনা করতে ছাড়ছে না কেন্দ্র। তাদের ঘৃণ্য রাজনীতির শিকার করছে এবার গরিব পড়ুয়াদের। আগেও এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সবক্ষেত্রেই যে কেন্দ্রের বঞ্চনা প্রকট আরও একবার প্রমাণিত হল এই বরাদ্দের পরিমাণের মধ্য দিয়ে। এমনকী মিড-ডে মিলে এই যৎসামান্য বরাদ্দ বাড়ানোয় নিন্দার ঝড় শিক্ষক মহলে। তাদের মতে এই মিড-ডে মিলের খাতে আরও বেশি পরিমাণ টাকা বাড়ানো উচিত ছিল কেন্দ্রের। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে বিশেষ করে শাকসবজি এবং খাবারের দ্রব্যের— তাতে এই পরিমাণ বরাদ্দে জল গরমও হবে না। দু’বছর ধরে বরাদ্দ না বাড়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল শিক্ষামহলে। সেই পরিস্থিতিতে মিড-ডে মিলে প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ বেড়ে হল ৬ টাকা ৭৮ পয়সা। আর উচ্চ প্রাথমিকে ১০ টাকা ১৭ পয়সা , এই পরিমাণ টাকা বাড়ায় আগুনে যেন আরও ঘৃতাহুতি পড়ল।  আবার প্রমাণিত হল, শিশুদের মুখের খাবারের গুণাগুণ বা পরিমাণ বৃদ্ধিতে দেশের কেন্দ্রীয় সরকার কতটা উদাসীন আর নির্লিপ্ত। শিশুদের পাতে পুষ্টিসম্পন্ন খাবার পড়ুক তা বিজেপি সরকার চায় না। বিজেপি আসলে বড়লোকের সরকার, গরিবের জন্য এরা ভাবে না।

আরও পড়ুন – যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশ সম্ভব! শিক্ষা দফতরে গেল ১৯ হাজার নাম

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_