বহিরাগতদের থেকে মন্দির রক্ষার দায়িত্বে মুসলিমরাই, শান্তি ফেরাতে বাড়ল গ্রেফতারি

১০ থেকে ১৫ বছরের কিশোররা এই হামলাকারী ছিল। এরা কেউ স্থানীয় ছিল না (outsiders)। কালো পোশাকে ঢাকা, হাতে অস্ত্র (arms) নিয়ে

রবিবার অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফেরা শুরু করল ধুলিয়ান (Dhulian) শহরসহ সুতি (Suti), সামশেরগঞ্জ (Samsherganj)। সোমবারের মধ্যে দোকানপাট খোলারও বার্তা দেন সাংসদ খলিলুর রহমান। আর সেই শান্তির পরিস্থিতি বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে স্থানীয় সম্প্রীতির (communal harmony) পরিবেশের জন্য, যা ধুলিয়ানের ঐতিহ্য। শুক্রবারের হিংসার ঘটনার সময় ও হিংসার পরে শনিবারও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে রক্ষার দায়িত্ব নেয় স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। আর তার জোরেই শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিতে পেরেছেন সাংসদ।

শুক্রবারের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে ধুলিয়ানের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বর্ণনা করেন, কীভাবে বহিরাগতরা হামলা চালায়। মূলত ১০ থেকে ১৫ বছরের কিশোররা এই হামলাকারী ছিল। এরা কেউ স্থানীয় ছিল না (outsiders)। কালো পোশাকে ঢাকা, হাতে অস্ত্র (arms) নিয়ে এলাকায় ঢোকে। স্থানীয় মন্দিরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। তবে পঞ্চায়েত প্রধান ইসমাইল, থেকে অন্যান্য স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ রুখে দেন বহিরাগতদের। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্তও সেই যুবকরাই হিন্দু মন্দির রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা নেয়।

তাঁদের ভরসাতেই ধুলিয়ান এলাকার একাধিক গ্রামে নিশ্চিন্তে কাটিয়েছেন গ্রামবাসী হিন্দুরা। বিজেপির তৈরি করা ধর্মীয় বিভেদের রাজনীতির যে কোনও প্রভাব সুতির (Suti) এই সব এলাকায় নেই, তা স্পষ্টভাবে জানান হিন্দু মহিলারাই। তার কারণ এইসব এলাকায় কখনই হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতিতে কোনওদিন কোনও ভাটা পড়েনি। সাংসদ খলিলুর নিজেও বাল্যবন্ধু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে শনিবার থেকে এলাকায় ঘুরেছেন। যাতে কোনওভাবে শান্তি বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য খোঁজ নিয়েছেন সব সম্প্রদায়ের মানুষের সুস্থতার।

রবিবার ঘটনাস্থলে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (Rajeev Kumar, DGP), ডিজিপি এসসিআরবি সিদ্ধিনাথ গুপ্তা (Siddhinath Gupta, DGP, SCRB)। অন্যদিকে হামলার ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে তল্লাশি জারি রাখা হয়। রবিবার পর্যন্ত গ্রেফতার হয় আরও ১৭ জন। ডিজিপি জানান পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।