আইন হাতে তুলে নেবেন না: অনুমতিসহ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

আইনের (law) ভক্ষক দরকার নেই। তাই আপনাদের অনুরোধ করব কেউ কেউ প্ররোচনা (instigation) দেবে কোনও ব্যাপারে। কিন্তু প্ররোচিত হবেন না

বাংলার মাটিতে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে অশান্তি বাধানোর প্রচেষ্টায় বিরোধীদের কোনও বিরাম নেই। বাংলা নতুন বছর শুরুর প্রাক্কালে রাজ্যের একাংশে সেই উস্কানির রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরা। তবে সেই উস্কানিতে পা দিয়ে নিজেরা অশান্তিতে জড়িয়ে পড়া থেকে রাজ্যের মানুষকে বিরত থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলায় যেভাবে সর্বধর্মের সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্প্রীতির পরিবেশ রক্ষিত হয়, তা রক্ষা করার কথা রাজ্যবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

বাংলা নববর্ষের আগের দিন কালীঘাটের নবনির্মিত স্কাইওয়াকের (skywalk) উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিরোধী দলের নেতারা সেই সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে মুখ্যমন্ত্রীকেও আক্রমণ করতে বাকি রাখেন না। কালীঘাটে সোমবার সেকথাও স্মরণ করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) উল্লেখ করেন, আমরা সবাই সব উৎসবে মিলিত হই। আমি অন্য অনুষ্ঠানে গেলেই আমার বিরুদ্ধে লেখা হয়। আমার পদবীও বদলে দেওয়া হয়।

বিরোধীদের এই নিকৃষ্ট রাজনীতির উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, কারা এসব করে? ধর্ম নিয়ে অধার্মিক আচরণ করতে নেই। মানুষকে ভালোবাসার থেকে বড় ধর্ম আর কিছু হতে পারে না।

সব ধর্মের পাশে দাঁড়াতে রাজ্যের প্রশাসন বদ্ধ-পরিকর। সেই সঙ্গে ধর্ম নিয়ে প্ররোচনায় পা দিয়ে অশান্তি তৈরি থেকে বিরত থাকারও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, যদি কারো উপর কোনও আঘাত আসে আমরা তাদের সকলের পাশে দাঁড়াই। শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার অধিকার আছে সবার – অনুমতি সহকারে। সে যেই হোক। আইন (law) কখনও হাতে তুলে নেবেন না। আইনের জন্য আইনের রক্ষক আছে। আইনের (law) ভক্ষক দরকার নেই। তাই আপনাদের অনুরোধ করব কেউ কেউ প্ররোচনা (instigation) দেবে কোনও ব্যাপারে। কিন্তু প্ররোচিত হবেন না। প্ররোচনার সময় যে মাথা ঠাণ্ডা রাখে তারই তো আসল জয় হয়।