ওয়াকফ আন্দোলনের নামে ভাঙড়ে গুন্ডামির ঘটনায় গ্রেফতার ৯

ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনের নামে সোমবার ভাঙড়ে আইএসএফ-এর (ISF) গুন্ডামির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, হিংসা ছড়ানো, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগে প্রাথমিকভাবে তিনজন এবং মধ্যরাতে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে, ক্রমাগত নজরদারি চালানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই আশঙ্কা করেছিলেন যে ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনের নামে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো প্ররোচনা দিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করবে। মুর্শিদাবাদের ঘটনায় তা আরও বেশি স্পষ্ট করে উঠে এসেছে। সোমবার আইএসএফ বিধায়ক নেতা নওশাদ সিদ্দিকীর (ISF Leader Nawsad Siddique) সমাবেশ থেকে গন্ডগোলের সূত্রপাত। কলকাতায় রামলীলা ময়দানে ওয়াকফ বিরোধী জমায়েত ছিল দলের। ভাঙড় থেকে মিছিল করে সেই সভায় যোগ দিতে আসার চেষ্টা করে একদল আইএসএফ সমর্থক।পুলিশের কাছে আগেই এই মিছিল থেকে অশান্তি ছড়ানোর খবর থাকায় বাসন্তী হাইওয়ের উপর ভোজেরহাটে মিছিল আটকায় পুলিশ।এতেই আইএসএফের গুণ্ডাবাহিনী পাথর ছোড়া শুরু করে পুলিশের উপর। বৈরামপুরের কাছে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ বোঝানোর চেষ্টা করে তাদের কলকাতা মিছিল নিয়ে যাওয়ার কোনও অনুমতি ছিল না।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। পাল্টা বিক্ষোভকারীরা পাঁচটি পুলিশের বাইকে আগুন লাগায়, উল্টে দেওয়া হয় প্রিজন ভ্যান। বৈরামপুরের পরে শোনপুরেও অশান্তি তৈরির চেষ্টা হয়। সেখানেও পুলিশ কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় মোতায়েন হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন তাদের কোনভাবেই রেয়াত করা হবে না বলে কলকাতা পুলিশের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।