৩৫টি ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

দেশজুড়ে বন্ধ হল ৩৫টি ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ওষুধ তৈরি, বিক্রি ও সরবারহ। এই নির্দেশ জারি করেছে ভারতের প্রধান স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন। বুধবার থেকে এই নির্দেশ কার্যকর। নিষিদ্ধ ওষুধের মধ্যে আছে নানা নিত্য ব্যবহার্য ওষুধ যেমন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধ (Medicine), উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ, স্নায়ুর ব্যথা কমানোর ওষুধ, বন্ধ্যাত্ব নিরাময়কারী ওষুধ, ক্যান্সার নিরাময়ক ওষুধ ও আরও অন্যান্য। কয়েকটি ওষুধের নাম হল প্যারাসিটামল, সিট্রিজেন, লিভোসিট্রিজেন এছাড়াও বেশ কিছু ক্যাফেইন জাতীয় ওষুধ।

এই নিষেধ জারি করা হয়েছে ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট ১৯৪০ -এর ২৬এ ধারা অনুযায়ী। যেসব ওষুধ জনস্বার্থে ক্ষতিকর বা অপ্রয়োজনীয় তা নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা এখানে দেওয়া আছে। এক্ষেত্রে একাধিক ওষুধ একত্রে কাজ করলেও এর বিশেষ বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এই ধরনের ককটেল (Cocktail) ওষুধ শরীরে রোগ নিরাময় কার্যকারিতার থেকে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে বেশি।

এর আগেও ২০১৬ সালে এফডিসি ৩৪৪টি ওষুধ (Medicine) নিষিদ্ধ করেছিল, যার মধ্যে ৩২৮টি ওষুধের কোনও ‘বৈজ্ঞানিক যৌক্তিকতা’ নেই। এই নির্দেশ সেই ধারাবাহিকতার অংশ। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশনের প্রধান ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার রাজীব রঘুবংশী ১৪ই এপ্রিল জানিয়েছেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি একটি বিষয়। যা সাধারণ মানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ।

তবে এসব ওষুধ ঘাটতির ফলে যে সমস্যা তৈরি হবে তার দিকেও নজর দিতে বলেছে ডিসিসিআই। তবে  রাজ্য সরকারের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছে তারা রাজ্য সরকারের লাইসেন্স নিয়েই এত দিন কাজ করেছে। তবে আজ থেকে বিভিন্ন রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারকে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার দিকে আরও গুরুত্ব দিতে বলেছে, যাতে ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্য কোনোভাবেই ঝুঁকির সম্মুখীন না হয়।