দিঘায় নতুন ধর্মক্ষেত্র গড়ে উঠেছে। অক্ষয় তৃতীয়ায় সেই ধর্মক্ষেত্র জগন্নাথ ধামের উদ্বোধন হবে। তার আগে নবান্নে প্রস্তুতি-বৈঠক করে সুষ্ঠুভাবে উদ্বোধনের সুচারু বন্দোবস্তের সম্পূর্ণ নির্দেশিকা দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী, সচিব এবং স্থানীয় প্রশাসনকে তিনি দায়িত্ব বণ্টন করে দিলেন কীভাবে দিঘায় জগন্নাথধামের উদ্বোধন-অনুষ্ঠান হবে। একইসঙ্গে ভারত সেবাশ্রম সংঘ থেকে শুরু করে জয়রামবাটি-কামারপুকুরেরও সহায়তা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর লক্ষ্য সুষ্ঠুভাবে দিঘায় জগন্নাথধাম উদ্বোধনের পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মন্দির খুব ভালভাবে অনেক জায়গা নিয়ে তৈরি হয়েছে। কিন্তু হোল্ডিং প্লেস খুব বড় নয়। গঙ্গাসাগরের মতো বড় ক্ষেত্র এখানে পাওয়া যাবে না। সেই কারণে ছোট্ট পরিসরেই যাতে সুষ্ঠু বন্দোবস্ত করা যায়, তার নির্দেশনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেজন্য ব্লকে ব্লকে এলইডি টিভি লাগানো হয়েছে। এয়ার কন্ডিশন হ্যাঙারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

জগন্নাথধাম উদ্বোধনে ১০-১৫ হাজার মানুষ আসবেন। উদ্বোধনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, অদিতি মুন্সি, ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়রা অনুষ্ঠান করবেন। তিনি বলেন, রাজেশ দ্বৈতপতি ও ইসকনের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। সেই অনু়যায়ী কাজ হবে। ২৩ এপ্রিল থেকে তাঁদের টিম পৌঁছে যাবে ধর্মীয় কাজ করার জন্য। এছাড়া ধ্বজা তোলার জন্য পুরী থেকে একটি গ্রুপকে বলা হয়েছে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর ইসকনের হাতে দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হবে মন্দিরের।

সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়ে তিনি জানান, গঙ্গাসাগরের মতোই ‘মে আই হেল্প ইউ’ পরিষেবা থাকবে। হাওড়ার উপর দিয়ে সমস্ত অতিথিরা আসবেন। তাই মন্ত্রী অরূপ রায় ও পুলক রায়কে বিশেষ দায়িত্ব দেন তিনি। এছাড়াও ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সুজিত বসুকে ২৭ এপ্রিল দিঘায় থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশ দেন কো-অর্ডিনেট করার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি নিজে সোনার ঝাড়ুর জন্য ৫ লক্ষ ১ টাকা দেেবন।


মুখ্যমন্ত্রী জানান, যজ্ঞ হবে আগের দিন। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দ্বারোদ্ঘাটন হবে মন্দিরের। প্রাণপ্রতিষ্ঠা বেলা ১১টায়। মিডিয়া ও সাধারণ দর্শনার্থী ও ভক্তদের জন্যও হোটেল, কটেজেরও বন্দোবস্ত করা হয়। মেদিনীপুরে গেট করার পাশাপাশি ব্র্যান্ডিং করার কথাও বলেন তিনি। বলেন পার্মানেন্ট হোর্ডিংয়ের কথাও। তিনটি হ্যাঙার তৈরি হয়েছে, সেখানে যথাক্রমে ৬০০০, ৪০০০ ও ২০০০ লোকের সংস্থান হবে। সেফটি সিকিউরিটির উপরও জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহণ, দমকল, পিএইচই, পূর্ত, তথ্য-সংস্কৃতি, শিল্প, বিদ্যুৎ, পর্যটন সচিবদেরও দায়িত্ব ভাগ করে দেন। সবাইকে উপস্থিত থেকে তদারকির নির্দেশ দেন তিনি।

আরও পড়ুন – গঙ্গার পাড়ে বিপদ! কলকাতা-সহ পাঁচ জেলায় ভাঙনের কারণ খুঁজতে বিশেষ সমীক্ষা রাজ্যের

_

_

_

_

_

_