ওয়াকফ অশান্তির মাঝে মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানালেন রাজ্য পুলিশের এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার।

মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ। তাদের বীরভূম ও সুতি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই দুষ্কৃতীর নাম কালু নাদাব ও দিলদার নবাব। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানান, এবার পুলিশের জালে এসেছে ঘটনার মূল অভিযুক্ত। গোটা এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা শুনে কারা এই ঘটনায় জড়িয়ে থাকতে পারে সেই সম্পর্কে ধারণা হয় পুলিশের।

এদিন তিনি বলেন, ”আগেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। দুজনের মোবাইলে টাওয়ার লোকেট করেই একজনকে বীরভূম থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরেকজনের নাগাল পায় পুলিশ। দুজনে সম্পর্কে ভাই। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে তাকে গ্রেফতার করে, নাম ইনজামুল হক। সুলিপাড়ার বাসিন্দা সে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিল। এই নৃশংস ঘটনার নেতৃত্ব দেওয়ার অন্যতম মাথা ছিল ইনজামুল। এখানেই শেষ নয় পুলিশের হাতে যেন তথ্যপ্রমাণ না যায়, সিসিটিভি ফুটেজ যেন না পাওয়া যায় তাই পার্শ্ববর্তী এলাকার সব ফুটেজ নষ্ট করার চেষ্টা করা হয় এমনকি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এবার আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতে পেশ করা হবে এবং আমরা তাকে পুলিশি হেফাজতে নেব।”

গ্রেফতারি ছাড়াও ঘরছাড়া সকলকে বাড়ি ফেরানোর ওপর জোর দিয়েছেন এডিজি। এদিন সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন, ”এই ঘটনার তদন্ত চলছে। যারা প্রতক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এতে জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত চার্জশিট দিয়ে শাস্তি সুনিশ্চিত করব। এখনো পর্যন্ত ৮৫ জন ঘরছাড়া বাড়ি ফিরে এসেছেন। জেলা প্রশাসনের তরফে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। সুস্থ জীবনযাপন করতে সবরকম ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ ক্যাম্প আছে, সেনার ক্যাম্প আছে। আস্থা ফিরে এসেছে। বাকিদেরও ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ সন্ধের মধ্যেই আরও অনেকে ফিরে আসবে। দোকানপাট খুলছে। সামগ্রিকভাবে দেখলে ৭০ % স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে পরিবেশ। কিছুদিনের এই অশান্তির ফলে গ্রেফতার হয়েছেন ২৭৪ জন এবং সর্বসাকুল্যে ৬০টি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে বিশেষ দলে রয়েছেন ১১ জন।”


আরও পড়ুন – বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলা! মালদহে বিস্ফোরণে আহত দুই শিশু

_

_

_

_

_

_

_