কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াকফ সংশোধনী আইনে (WAQF ammendment act) স্থগিতাদেশ না দিলেও বেশকিছু অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারির পথে হাঁটতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ! সিদ্ধান্ত হতে পারে আজই। বুধবার কেন্দ্রের সংবিধান বিরোধী আইনের বিরোধিতায় দায়ের হওয়া একগুচ্ছ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার (Sanjib Khanna) ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী রায়ে জানায়, ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে ঘোষিত সম্পত্তিগুলি নিয়ে বাতিলের কোনও নির্দেশ দিতে পারবে না কেন্দ্রের সরকার। সেই সঙ্গে ওয়াকফ আইনের (WAQF ammendment act) বিরোধিতা নিয়ে যে অশান্তির ঘটনা ঘটছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে বিচারপতি খান্নার ডিভিশন বেঞ্চ। সেই আলোচনার ভিত্তিতেই তিনটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে শীর্ষ আদালত। বুধের শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী এই বিষয়ে নিয়ে তাঁদের আরও বক্তব্য জানাতে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করায়, কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে অন্তর্বর্তী নির্দেশিকা জারি করা হয় কিনা সেদিকে নজর সারা দেশের।

সরকারের পাস করা রায়ে সাধারণত সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ না করলেও ওয়াকফ সংশোধনী আইন-কে গুরুত্ব দিয়েই তার বিরোধিতায় দায়ের করা মামলার শুনানিতে সম্মত হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ১৬ এপ্রিল এই মামলার প্রথম শুনানিতে কেন্দ্রের নতুন আইন নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। যেখানে শতাব্দী প্রাচীন ওয়াকফ সম্পত্তিগুলির রেজিস্ট্রেশন করার যে নির্দেশ জারি হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। প্রায় ১০০ বছর ধরে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে গণ্য হয়ে আসা সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করা একটা বড় ইস্যু তৈরি করতে পারে। সেখানেই শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, শতাব্দী প্রাচীন ওয়াকফ সম্পত্তিগুলি কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব? এই ক্ষেত্রে জামা মসজিদের উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। এর পরই উঠে আসে তিন অন্তর্বর্তী নির্দেশের প্রসঙ্গ। প্রথমত, শীর্ষ আদালতে ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা চলছে, তা চলাকালীন যে সম্পত্তিকে আদালত ওয়াকফ বলে ঘোষণা করেছে, তাকে ‘ওয়াকফ নয়’ বলে ধরা যাবে না। দ্বিতীয়ত, মামলা চলাকালীন, কোনও ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে জেলাশাসক প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া চালাতে পারবেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যাবে না। তৃতীয়ত, ওয়াকফ বোর্ড এবং ওয়াকফ কাউন্সিলের সদস্যদের মুসলিম হতেই হবে। শুধুমাত্র পদাধিকার বলে যোগদানকারীরা তাঁরা ভিন্ন ধর্মের হতে পারেন। পাশাপাশি এই মামলা সুপ্রিম আদালত হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কিনা সেদিকেও নজর থাকবে।

–

–


–

–

–

–

–

–

–
