প্রেমে পড়ার যেমন কোনও বয়স হয় না, বিয়ে করারও উর্ধ্বসীমা নেই। আইনগত বাধা না থাকলে, যে কোনও বয়সেই মালাবদল করা যায়। আর রাজনীতিতে সেই উদাহরণ ভুরি ভুরি। বছর ষাটের বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বিয়ের খবরে যখন বঙ্গ রাজনীতিতে জোর চর্চা, তখন ফিরে দেখা যাক এই তালিকায় আর কে কে আছেন? প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি থেকে সোমেন মিত্র (Somen Mitra) লিস্ট কিন্তু কম নয়।

চিরকুমার বলে তকমা যখন প্রায় পড়ে গিয়েছিল, তখনই কংগ্রেসের লড়াকু নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি ঘোষণা করেন তিনি বিয়ে করবেন। সালটা ১৯৯২। পাত্রী দীপা ঘোষ। ৯৪ সালের পয়লা বৈশাখ বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন প্রিয়-দীপা। মে-মাসে আনুষ্ঠানিক বিয়ে। এক পুত্র সন্তান তাঁদের। আরেক বৈশাখেই বিয়ে করতে চলেছেন দিলীপ (Dilip Ghosh)।

আরেক তৎকালীন কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র। ‘আইবুড়ো কার্তিক’ বলে সবাই ধরেই নিয়েছিল তাঁকে। অনুগামীরা শুধু জিজ্ঞাসা করতেন, “ছোড়দা বিয়ে করবে না?” অবশেষে পঞ্চাশ পেরিয়ে নয়ের দশকের শেষে শিখাকে বিয়ে করেন সোমেন। সোমেন-শিখারও রয়েছেন এক পুত্র।

বেশ বেশি বয়সে বিয়ে করেন আরেক রাজনীতিবিদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুদিন অভিনেত্রী (বর্তমানে বিধায়ক) নয়না দাশের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার পরে তাঁকে বিয়ে করেন। এখন দুজনেই রাজনীতির ময়দানে। এঁরা সবাই জীবনসঙ্গী বাছেন পঞ্চাশের পার হয়ে।


অতটা দেরি না হলেও, বেশ বেশি বয়সে বিয়ে করেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও।

আরেক রাজনৈতিক নেতা লক্ষ্ণণ শেঠ। সিপিএম থেকে কংগ্রেসে গিয়ে এখন রাজনীতির বাইরে। প্রথম স্ত্রী তমালিকা পণ্ডা শেঠের মৃত্যুর বেশ অনেক বছর পরে ফের বিয়ের পিড়িতে বসেন তিনি। তখন লক্ষ্ণণের বয়স সত্তর পেরিয়েছে। পাত্রী মানসী দে। শোনা যায়, এই বিয়ে নিয়ে লক্ষ্ণণের প্রথম পক্ষের দুই পুত্র যথেষ্ট অসন্তুষ্ট ছিলেন।

দিল্লির বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন। জীবনের অনেক বসন্ত পার করে, সম্প্রতি বিয়ে করেছেন তিনি। সুতরাং, দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বিয়ের বয়স পেরিয়ে যায়নি। কারণ, বিয়ের বয়সের কোনও উর্ধ্বসীমা নেই।

–

–

–

–

–