সন্দেশখালির মতোই মুর্শিদাবাদকেও অশান্ত করার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। তাদের সেই মুখোশ খুলে দিয়েছে তৃণমূল। বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতির চক্রান্ত রুখে দিয়েছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন ও মুর্শিদাবাদের মানুষ। শুক্রবার দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে গর্জে উঠলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে মুর্শিদাবাদকে বাংলাদেশের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানকার মানুষ ভারতেই থাকতে চেয়েছিলেন। তাদের চাওয়াকেই সেই সময় প্রাধান্য দিতে হয়েছিল। এখন বিজেপি যদি মনে করে সহজেই মুর্শিদাবাদকে (Murshidabad) অশান্ত করা যাবে, সেটা সম্ভব হবে না।

তাঁর আরও সংযোজন, ওয়াকফ সংশোধনী বিল (WAQF Amendment Act) নিয়ে শুধু বাংলাতেই নয়, সারা দেশজুড়ে আন্দোলন হচ্ছে, প্রতিবাদ হচ্ছে। ধর্ম নিয়ে বিজেপির এই ঘৃণ্য রাজনীতির চক্রান্ত ভেস্তে দেবে বাংলার মানুষ। এদিনের বৈঠকটি আয়োজিত হয় টিটাগড়ের দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সদর কার্যালয়ে। উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick), শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chatterjee), অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ-সহ একাধিক বিধায়ক ও পুরপ্রধানরা।

রাজ্যজুড়ে ভুয়ো ভোটার নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন তারা। ভিনরাজ্য থেকে এ-রাজ্যে ভুয়ো ভোটার ঢুকিয়েছে বিজেপি। এছাড়াও রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ধর্ম নিয়ে বিভাজনের রাজনীতিতে নেমেছে তারা। তার বিরুদ্ধেও এদিন সরব হন তৃণমূল নেতারা। এদিন পার্থ ভৌমিক বলেন, অর্জুন সিং বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে বারাকপুরকে অশান্ত করতে চাইছে। বারাকপুরের মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এর যোগ্য জবাব দেবে। এদিন তিনি অর্জুনকে মানসিক চিকিৎসক দেখানোর পরামর্শও দেন। তিনি আরও বলেন, ভোটার লিষ্ট স্কুটিনির কাজ আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত চলবে।

–


–

–

–

–

–

–

–
