মোদির ‘বিকশিত ভারত’: পিএম জন আবাস যোজনার ঘর থেকে উৎখাত দলিতদের

মোদির বিকশিত ভারতের প্রকৃত নমুনা। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী জন আবাস যোজনার ঘর দেখানো হল গরিবদের এবং প্রচুর ছবি তুলে প্রচার করা হল। তারপর ছলে-বলে-কৌশলে সেই ঘর থেকে বের করে দেওয়া হল গরিব দলিত মানুষদের। এই ঘটনা বিজেপির (BJP) অন্যতম পোস্টার বয় যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) যে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচার করেছিলেন শুধু প্রচার পাওয়ার জন্য, সেই ভাঁওতা ফের একবার ধরা পড়ে গেল।

উত্তরপ্রদেশের (Utterpradesh) হাপুরে জীর্ণ সাদা দেওয়ালের বাড়ি। সেখানে লেখা আছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (নগর)। তারপর লেখা সুবিধাভোগীর নাম ও ঠিকানা। দুই কক্ষের বাড়ির করিডোরে নীল স্যুটে ড. বি আর আম্বেদকরের প্রতিকৃতি। এই বাড়িটি যাঁর, সেই গঙ্গারাম হাপুরের গড়মুক্তেশ্বরে একটি ছোট মিষ্টি এবং চিপসের দোকান চালান। তিনি পুর-পরিষদ থেকে একটি নোটিশ পান। সেখানে বলা হয় যে জমিতে তার দখল অবৈধ। নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে দখলমুক্ত করে দিতে হবে বাড়িটি। জমিটি নগর পালিকায় জমা দিতে হবে, অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে মামলার জন্য আপনিই দায়ী থাকবেন।

১৯৮৬ সাল থেকে সায়না চোরাহা এলাকার ইন্দ্রনগরে বসবাসকারী আরও ৪০টি পরিবারও একইরকম সমস্যার সম্মুখীন। ৪১টি বাড়ির মধ্যে ৪০টি ২০১৯ সাল থেকে দরিদ্রদের জন্য কেন্দ্রীয় আবাসন প্রকল্পের অধীনে নতুনভাবে নির্মিত হয়।
আরও খবর: মুর্শিদাবাদ নয়, মালদহেই রাজ্যপাল: বৃহত্তর চক্রান্তের অভিযোগ তৃণমূলের

মোদি-যোগীদের এই ভাঁওতা সামনে এনে তৃণমূল দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সমাজ মাধ্যমে জানিয়েছে, মোদিজি প্রধানমন্ত্রী জন আবাস যোজনার ঘর তৈরি করেছিলেন শুধুমাত্র শিরোনামে আসার জন্য আর ক্যামেরার সামনে পোজ দেওয়ার জন্য। প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) এই আবাস যোজনা প্রকল্প গরিবদের সেবা করার জন্য করেননি, তা প্রমাণিত। যোগীরাজ্যের হাপুরে আবাস যোজনার ঘরে বহু বছর ধরে বাস করার পর, এখন তার সরকারই বলছে এই ঘরগুলি নাকি অবৈধ। তাই দশকের পর দশক ধরে বসবাসকারী গরিব দলিত পরিবারগুলিকে উচ্ছেদের নোটিশ পাঠাচ্ছে তারা। মোদি সরকারের বিজ্ঞাপন আর ভাষণের পিছনে রয়েছে লোক ঠকানো মিথ্যে প্রতিশ্রুতি আর গরিবদের সঙ্গে অন্যায়।