বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা যে ঐতিহ্য গোটা বিশ্ব দরবারে প্রকাশিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে বিবেচিত, তাকে স্থান করে দেয় ইউনেস্কো (UNESCO)। একদিকে লিপিবদ্ধ ইতিহাসের সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয় স্বীকৃতি দিয়ে। অন্যদিকে গোটা বিশ্বের কাছে সেই ইতিহাসকে তুলে ধরা হয় ‘মেমরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ (Memory of the World) স্বীকৃতিতে। এবার সেই তালিকায় ভারত থেকে স্থান পেল শ্রীমদ্ভগবদগীতা (Bhagavad Gita) ও ভরতমুনির নাট্যশাস্ত্র (Natyashastra)। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসাবে নতুন পাতায় স্থান পেল এই দুই লিপিবদ্ধ নথি।

ইউনেস্কোর তথ্য অনুসারে ৭২টি দেশ ও চারটি আন্তর্জাতিক কমিটির দস্তাবেজকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ‘মেমরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ ক্যাটাগরিতে। সেখানে ইতিহাসের দলিলে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন, নারীর অবদান, বহুমতের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের নিরিখে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো (UNESCO)। সেই অঙ্গিকে বিচার করেই এবার বিশ্ব দরবারে স্বীকৃত শ্রীমদ্ভগবদগীতা (Bhagavad Gita) ও নাট্যশাস্ত্র (Natyashastra)।

ভারতের সংস্কৃতির বৈদিক সভ্যতা ও ঐতিহ্যের বিশেষ স্থান জুড়ে রয়েছে শ্রীমদ্ভগবদগীতা ও ভরতমুনির নাট্যশাস্ত্র। গীতা যেমন ভারতীদের কাছে একটি ধর্মগ্রন্থ এবং আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক, তেমনই নাট্যশাস্ত্র প্রাচীন শিল্পকলার বিশেষ গ্রন্থ। যা দীর্ঘকাল ধরে ভারতের বৌদ্ধিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে ভারতের মোট ১৪টি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এই আন্তর্জাতিক রেজিস্টারে স্থান পেল।

ইউনেস্কো-র এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ব জুড়ে প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে এটি গর্বের মুহূর্ত। ভারতের নিরন্তর জ্ঞান ও উচ্চ সাংস্কৃতিক মর্যাদার পরিচয় গীতা ও নাট্যশাস্ত্র-কে ইউনেস্কো-র ‘মেমরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ (Memory of the World) স্বীকৃতি।


–

–

–

–

–

–

–
