Thursday, December 4, 2025

বিজেপি ঘর কাড়ে, মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিত করেন বাংলার বাড়ি

Date:

Share post:

মোদি সরকার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। মানুষকে ভাঁওতা দিয়ে ঘর কেড়ে নেয়। আর বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার গরিব মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করে। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ২৮ লক্ষ পরিবারকে ঘর বানাতে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এবং তা দিচ্ছে কেন্দ্রের কোনও সাহায্য ছাড়াই। তফাৎ এখানেই! যোগীরাজ্যের হাপুরে গরিব দলিতশ্রেণির মানুষকে ঘর থেকে বিতাড়িত করার পর তৃণমূল সমাজমাধ্যমে বিজেপির (BJP) সেই কীর্তিকলাপকে খোঁটা দিয়ে ছন্দ মিলিয়েছে ক্যাপশন দিয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে— ঘর কাড়ে বিজেপি, দেখায় শুধু ভয়, বাংলায় দিদি আছে, বাড়ি হবে নিশ্চয়!

এদিন একটি ভিডিও প্রকাশ করে তৃণমূল জানিয়েছ, আবাস যোজনার ঘর দিয়েও ঘর কেড়ে নেয় গরিব বিরোধী মোদি সরকার। উত্তরপ্রদেশের হাপুরে দলিতদের ঘর থেকে লাথি মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। ভোট ফুরোতেই আসল চেহারা সামনে এসে পড়েছে তাদের। দলিত-গরিবপ্রেম উধাও। তাঁদের মাথার উপর থেকে ছাদ কেড়ে নিতে দু’বার ভাবেনি বিজেপি সরকার। কিন্তু কথা দিয়ে কথা রাখেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেইমতোই রাজ্য সরকার তার সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও বাংলার বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা তুলে দিয়েছে ১২ লক্ষ পরিবারকে।

কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও আবাস যোজনার বাড়ির বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াসেই ২৮ লক্ষ পরিবারের মাথায় পাকা ছাদ জুটতে চলেছে। বাংলার বাড়ি পাচ্ছেন তাঁরা। এই ২৮ লক্ষ পরিবারকে বাংলার বাড়ি দেওয়ার অঙ্গীকার এবারের বাজেটে করা হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা প্রদান করা হবে বাকি ১৬ লক্ষ পরিবারকেও।

spot_img

Related articles

কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন! দ্রুত কমছে এসআইআর-এ ভোটারহীন বুথ 

এসআইআর-এর ভোটারহীন বা ‘শুষ’ বুথগুলির সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে যে সংখ্যা ছিল ২২০৮,...

বহুতল সমস্যা সমাধানে সর্বদা পাশে রাজ্য সরকার: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বহুতল সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস পাশে থাকবে। আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার...

রাজ্যের শিক্ষক-কর্মীদের জন্য সুখবর: এবার মিলবে অতিরিক্ত ১০% মহার্ঘ ভাতা

স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল যে রাজ্যের সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক...

শিক্ষামন্ত্রী না থাকলে বিজয়ের গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হত না: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পর্ষদ সভাপতির

রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তা প্রমাণ...