বিজেপি ঘর কাড়ে, মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিত করেন বাংলার বাড়ি

মোদি সরকার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। মানুষকে ভাঁওতা দিয়ে ঘর কেড়ে নেয়। আর বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার গরিব মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করে। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ২৮ লক্ষ পরিবারকে ঘর বানাতে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এবং তা দিচ্ছে কেন্দ্রের কোনও সাহায্য ছাড়াই। তফাৎ এখানেই! যোগীরাজ্যের হাপুরে গরিব দলিতশ্রেণির মানুষকে ঘর থেকে বিতাড়িত করার পর তৃণমূল সমাজমাধ্যমে বিজেপির (BJP) সেই কীর্তিকলাপকে খোঁটা দিয়ে ছন্দ মিলিয়েছে ক্যাপশন দিয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে— ঘর কাড়ে বিজেপি, দেখায় শুধু ভয়, বাংলায় দিদি আছে, বাড়ি হবে নিশ্চয়!

এদিন একটি ভিডিও প্রকাশ করে তৃণমূল জানিয়েছ, আবাস যোজনার ঘর দিয়েও ঘর কেড়ে নেয় গরিব বিরোধী মোদি সরকার। উত্তরপ্রদেশের হাপুরে দলিতদের ঘর থেকে লাথি মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। ভোট ফুরোতেই আসল চেহারা সামনে এসে পড়েছে তাদের। দলিত-গরিবপ্রেম উধাও। তাঁদের মাথার উপর থেকে ছাদ কেড়ে নিতে দু’বার ভাবেনি বিজেপি সরকার। কিন্তু কথা দিয়ে কথা রাখেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেইমতোই রাজ্য সরকার তার সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও বাংলার বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা তুলে দিয়েছে ১২ লক্ষ পরিবারকে।

কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও আবাস যোজনার বাড়ির বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াসেই ২৮ লক্ষ পরিবারের মাথায় পাকা ছাদ জুটতে চলেছে। বাংলার বাড়ি পাচ্ছেন তাঁরা। এই ২৮ লক্ষ পরিবারকে বাংলার বাড়ি দেওয়ার অঙ্গীকার এবারের বাজেটে করা হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা প্রদান করা হবে বাকি ১৬ লক্ষ পরিবারকেও।