দিঘায় মন্দির উদ্বোধনের আগেই প্রাপ্তি: ভেসে আসা জগন্নাথ দেখতে ভিড়

ঈশ্বরের আগমন-বার্তা বলে দাবি করছে স্থানীয়রা। আপাতত দিঘার (Digha) জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath temple) আগে অবনি সামন্তের বাড়ি একটি আলাদা আকর্ষণের স্থান হয়ে

মন্দির প্রতিষ্ঠার আগেই ভেসে আসা জগন্নাথ মূর্তি নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই আমজনতার। স্থানীয়রা চাইছিলেন মূর্তিটিকে প্রতিষ্ঠা করতে। দিঘার (Digha) মন্দিরে যে বিগ্রহ (idol) প্রতিষ্ঠিত হবে, তার আগেই সমুদ্রে ভেসে আসা মূর্তিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়ায় সেই মূর্তি কোনওভাবেই অবহেলায় সরিয়ে রাখতে নারাজ স্থানীয় মানুষ। শেষ পর্যন্ত ভোগীব্রহ্মপুরের বাসিন্দা অবনি সামন্ত মূর্তিটিকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে শুদ্ধিকরণ করিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করিয়েছেন। নিজের অন্যান্য গৃহদেবতার পাশে স্থান দিয়েছেন সমুদ্র-প্রাপ্ত জগন্নাথ মূর্তিকে। নিয়ম মেনে পুজো হয়েছে। পুজো শেষে বিতরণ করা হয়েছে প্রসাদও। ভগবানকে দেখতে ফুল-মালা হাতে উপচে পড়ছে ভক্তদের ভিড়। অবনী সামন্ত জানিয়েছেন, কোথা থেকে কীভাবে এসেছে জানি না। আমি শুধু ভগবানকে সেবা করতে চাই।

আগামী ৩০ এপ্রিল উদ্বোধন হতে চলেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath temple)। জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে তৈরি করা হচ্ছে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি। তার পাশেই তৈরি হচ্ছে একটি ঘাট। রবিবার সেই ঘাটেই কয়েকজন মিস্ত্রী সমুদ্রপাড়ের বোল্ডার সরাচ্ছিলেন। সেই সময় মঙ্গল রানা দেখতে পান সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে আসছে একটি মূর্তি।

ঈশ্বরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা মন্দিরে হওয়ার আগে পর্যটন সৈকত শহর দিঘায় উত্তেজনার অন্ত নেই। আত্মপ্রকাশের আগে মন্দিরে একবার এসে দর্শনের জন্য দূর দূরান্তের মানুষ ট্রেনের টিকিটও কেটে ফেলেছেন। সেই শুভ মুহূর্ত ৩০ এপ্রিল আসার আগে অনেক বিরোধীরা অনেক অপশব্দ প্রয়োগ করেছেন। জোর করে মন্দির প্রতিষ্ঠার মতো কালি ধর্মীয় স্থানে লাগানোরও চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে রবিবার মূর্তি সমুদ্রে ভেসে আসার ঘটনায় আরও একবার রাজ্য সরকারের শুভ উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদি স্থানীয় কোনও ব্যক্তি সেই মূর্তি ফেলেও দিয়ে থাকেন সমুদ্রে, তা ভেসে মাসির বাড়ির ঘাটেই উঠেছে। তা দেখেই ঈশ্বরের আগমন-বার্তা বলে দাবি করছে স্থানীয়রা। আপাতত দিঘার (Digha) জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath temple) আগে অবনি সামন্তের বাড়ি একটি আলাদা আকর্ষণের স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।