হাওড়ার ডোমজুড়ে অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশনের (ONGC) একটি রাসায়নিক কারখানায় আগুন লাগার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় সোমবার দুপুরে। প্রথমত দাহ্য পদার্থের উপস্থিতি, দ্বিতীয়ত, দমকল পৌঁছানোর পর্যাপ্ত রাস্তা না থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা কারখানা চত্বরে। সেই সঙ্গে রাসায়নিক থেকে ছিটকে যাওয়া আগুন ছড়ায় পাশের হোগলার বনে, যার ফলে স্থানীয় এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়া নিয়ে আশঙ্কায় পড়েন দমকল কর্মীরাও। প্রাথমিকভাবে চারটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রশ্ন উঠেছে কারখানার অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে। যদিও শ্রমিক আন্দোলনের জেরে কারখানা বন্ধ থাকায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

ডোমজুড়ের (Domjur) উত্তর ঝাপড়দহ এলাকায় ওএনজিসি-র একটি কারখানা ও গোডাউন রয়েছে। সেই গোডাউনে সোমবার দুপুরে আগুন লাগে। কারখানায় তেল থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই আগুনে তেল ভর্তি ড্রামগুলিতে বিষ্ফোরণ হয়ে তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে পাশের হোগলার বনে। একের পর এক জ্বলন্ত ড্রাম (drum) উড়ে আসে বাইরে। দ্রুত সেখানেই আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। দমকল কর্মীরা প্রথমেই হোগলার বনের অংশে জল ঢেলে আগুন ছড়িয়ে পড়া আটকানোর চেষ্টা করেন।

তবে দমকলকে বেগ পেতে হয় কারখানায় পৌঁছাতে। অপ্রসস্ত রাস্তায় কারখানা পর্যন্ত পৌঁছাতে সমস্যা হয়। পিছনের দিকে কারখানার দেওয়াল ভেঙে প্রবেশ করতে হয় দমকল কর্মীদের। তবে আগুনের তাপ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় কাছে গিয়ে কাজ করতেও বেগ পেতে হয় দমকলকে। প্রাথমিকভাবে যাতে হোগলা বনের আগুন বেশি ছড়াতে না পারে, সেই দিকে নজর দেয় দমকল কর্মীরা।

সেখানেই প্রশ্ন ওঠে, যে কারখানা এত দাহ্য পদার্থ থাকা সত্ত্বেও কেন অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা প্রকৃত অর্থে নেই। শ্রমিক আন্দোলনের জেরে সম্প্রতি কিছুদিন কারখানা বন্ধ থাকায়, আগুন লাগার সময় সেখানে কেউ উপস্থিত ছিলেন না বলেই স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। যদি কারখানা চালু অবস্থায় এই আগুন লাগত তবে ক্ষয়ক্ষতি আরও বেশি হতে পারত বলেই আশঙ্কা দমকলের। সেক্ষেত্রে আগুন লাগার পিছনে চক্রান্তের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।


–

–

–

–

–

–

–
