তাড়াহুড়ো কিসের! বাংলাবিরোধী মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনা

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা লড়ার অভিজ্ঞতা কত বছরের? কতগুলি জনস্বার্থ মামলা (PIL) লড়েছেন? আপনি সিনিয়রের কাছ থেকে প্লিড (plead) করার নিয়ম শেখেননি

মুর্শিদাবাদ নিয়ে বাংলা বিরোধী চক্রান্ত ভেস্তে গিয়েছে বিজেপির দিল্লির নেতাদের। ইস্যু জাগিয়ে রাখতে একমাত্র উপায় আদালতে মামলা। ঘরছাড়ারা ঘরে ফেরার পরে নতুন করে এলাকাকে ভেদাভেদের রাজনীতি উস্কে দিতে তড়িঘড়ি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিজেপি মদতপুষ্ট আইনজীবীরা। একের পর এক দায়ের মামলা। আর তাতেই ভুল নিয়মে মামলা দায়েরে সুপ্রিম কোর্টে চরম ভর্ৎসনার মুখে আইনজীবী শশাঙ্ক শেখর ঝাঁ। শালীনতার মাত্রা ছাড়ানোয় নতুন করে পিটিশন ফাইল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সূর্যকান্তর ডিভিশন বেঞ্চ।

চক্রান্ত করে মুর্শিদাবাদকে অশান্ত করার ব্যর্থ চেষ্টার পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতে গিয়ে বিজেপির আইনজীবীদের শালীনতার নগ্ন রূপ সামনে উঠে এলো। যাদের বিরুদ্ধে মামলা, তাঁদের মামলায় উল্লেখই করা হয়নি, পর্যবেক্ষণে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, আবেদনের ক্ষেত্রে সেই ভাষা অত্যন্ত অশালীন বলেও পর্যবেক্ষণে জানানো হয়। বিচারপতি এই পিটিশন দেখে ভাষা বদলে নতুন পিটিশন দায়েরের নির্দেশ দেওয়ার পরেও আইনজীবী নিজের ঔদ্ধত্য বজায় রেখে পরিবর্তন প্রয়োজন নেই বলে দাবি করেন। আর তাতেই বিচারপতি সূর্যকান্তের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে আইনজীবী।

সোমবার এক নাগাড়ে মুর্শিদাবাদের হিংসা নিয়ে একাধিক মামলা করে বিজেপি সমর্থক একাধিক আইনজীবী। তার মধ্যে শশাঙ্ক শেখর ঝাঁ-এর করা মামলায় দাবি জানানো হয়, মুর্শিদাবাদের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিট (SIT) গঠন করে তদন্তের। সেই মামলায় রাজ্যের একাধিক প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। অথচ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরা শুনানিতেই উপস্থিত নেই। কারণ তাঁদের মামলার প্রতিপক্ষ হিসাবে উল্লেখই নেই, পর্যবেক্ষণে জানান বিচারপতি সূর্যকান্ত। সেই প্রসঙ্গেই তিনি প্রশ্ন করেন, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা লড়ার অভিজ্ঞতা কত বছরের? কতগুলি জনস্বার্থ মামলা (PIL) লড়েছেন? আপনি সিনিয়রের কাছ থেকে প্লিড (plead) করার নিয়ম শেখেননি কেন?

চরম অপমানিত হয়েও আইনজীবী ঝাঁ দাবি করতে থাকেন, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিগুলি কী কী? সেখানেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) প্রশ্ন তোলে, এত তাড়াহুড়ো কিসের? যে অভিযোগ তিনি আনছেন তা শোনার যথেষ্ট কারণ সাধারণ মানুষের কথা শোনা, এমন উল্লেখ করেও শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, এমন ভাষার উল্লেখ থাকে কী করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে। কোনও দফতরের বা সংবাদে প্রকাশিত বক্তব্য আবেদনে উল্লেখের সঠিক নিয়ম মেনেই চলা হয়নি। নতুন করে পিটিশন (new petition) ফাইল করার অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত।