শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছেছে সন্ত্রাসী হামলার মৃতদেহ বহনের কফিন, শোকগ্রস্ত গোটা দেশ। নিরীহ পর্যটকদের মর্মান্তিক মৃত্যুতে যখন গোটা দেশ শোকাহত, সেই সময় সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের বহনকারী কফিনগুলি শ্রীনগর বিমানবন্দরে এল। নিজেদের রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এবং বাকি পর্যটকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য বেশ কয়েকজন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি ইতিমধ্যেই শ্রীনগরে পৌঁছেছেন। ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এটিই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা। সরকার যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেনি।

সিদ্দারামাইয়া সরকারের পক্ষ থেকে কর্ণাটকের মন্ত্রী সন্তোষ লাড শ্রীনগরে পৌঁছেছেন। অন্যান্য রাজ্যের মন্ত্রী এবং কর্মকর্তারাও উপস্থিত হয়েছেন। শ্রীনগর বিমানবন্দরের বাইরে পর্যটকদের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। উপত্যকা থেকে পর্যটকদের নিরাপদে ফেরা নিশ্চিত করতে এয়ার ইন্ডিয়া আজ দিল্লি এবং মুম্বাইতে আরও দুটি অতিরিক্ত বিমান ব্যবস্থা করেছে। কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু আজ শ্রীনগর থেকে দিল্লি এবং মুম্বাইতে আরও বিমানের ব্যবস্থা করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে কথা বলেছেন। চাহিদার ভিত্তিতে, বিমান সংস্থাগুলির সাথে যোগাযোগ করে পর্যটকদের সবরকম সহযোগিতার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে পর্যটকদের উপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পুলিশ প্রশাসন ‘কন্সার্টিনা তার’ স্থাপন করেছে। এছাড়া তল্লাশি অভিযানে সহায়তা করার জন্য চপার মোতায়েন করা হয়েছে।


কাশ্মীরের এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুঞ্চ জেলার কিছু ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে এবং বাজারে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। উঠছে পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান। মঙ্গলের সন্ত্রাসী হামলার পর, বুধবার নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। হামলার পর থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সাধারণত ব্যস্ত পর্যটন এলাকার রাস্তাঘাট আজ জনশূন্য। হামলার পর অনেক সংগঠন জম্মু বনধের ডাক দিয়েছে।

–


–

–

–

–

–

–

–

–