Sunday, August 24, 2025

পর্যটকদের কাশ্মীর ছাড়ার হিড়িক শুরু হতেই বিমান ভাড়া তিনগুণ! সরব ওমর

Date:

ভূস্বর্গের মিনি সুইজারল্যান্ডেই জঙ্গি হানা। তার লক্ষ্য শুধুমাত্র পর্যটকরাই। দেখতে মুম্বই হামলার মতো হলেও এই হামলায় বেছে বেছে পুরুষদের মারা হয়েছে। হাহাকার করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মহিলা ও শিশুদের। স্বভাবতই প্রাণ নিয়ে ফেরা পর্যটকরা দ্রুত যে কোনো উপায়ে নিজেদের ঘরে ফিরতে ব্যস্ত। আর তারই সুযোগ নিচ্ছে বিমান সংস্থাগুলি। সাধারণভাবে প্লেনের (flight) যে ভাড়া থাকে তার থেকে তিনগুণ বা চারগুণ ভাড়া নিতেও দেখা যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MEA) যেভাবে সাধারণ মানুষকে কাশ্মীরে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, ঠিক সেভাবেই কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকও (Aviation Ministry) প্রাণের তাগিদে বাড়ি ফেরা মানুষগুলোকে ব্যবসায়ীদের শোষণ থেকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।

মঙ্গলবার জঙ্গি হামলার পরেই কাশ্মীর ছাড়া শুরু করেন দেশের প্রতিটি অংশের মানুষ। পহেলগাম (Pahalgam), মোভেরা (Movera) এলাকা থেকে পর্যটকদের ফিরে যেতে নির্দেশ দেয় প্রশাসন। ফলে মঙ্গলবার থেকেই ফেরার পথ ধরেন তাঁরা। দ্রুততায় প্লেনের টিকিট কাটতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ। মঙ্গলবার কাশ্মীর থেকে কলকাতা ফেরার ফ্লাইটের ভাড়া (flight fare) যেখানে ভরা মরশুমে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকার কাছাকাছি থাকে, সেখানে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন ভাড়া দাঁড়ায় ১৮ হাজার টাকায়। আর সর্বোচ্চ ভাড়া ৮১ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে যায়।

বুধবারও প্রায় একই হারে চড়া ভাড়া গুনতে হয় ঘরে ফিরতে চাওয়া মানুষগুলিকে। সেখানেও দেখা যায় সাধারণ কলকাতায় ফেরার ফ্লাইটের ভাড়া প্রায় ৩৭-৩৮ হাজার টাকা হয়ে দাঁড়ায়। দিল্লিতে (Delhi) ফেরার ক্ষেত্রেও ভাড়া অনেকটাই বাড়ে। সেক্ষেত্রে হাজার পাঁচেক টাকায় যে টিকিট পাওয়া যেত তার ন্যূনতম ভাড়া দাঁড়ায় প্রায় ১০ হাজার টাকা। কোনও কোনও বিমান শুধু দিল্লি পৌঁছাতেই ৩৩-৩৪ হাজার টাকা গুণতে হয় পর্যটকদের। একদিকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসার আতঙ্ক, অন্যদিকে বিমানের ভাড়ার সাঁড়াশি চাপে কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পর্যটকরা। সেই সঙ্গে বিমানে টিকিট পাওয়ার জন্যও শুরু হয়ে যায় হাহাকার। তারই সুযোগ নেয় বিমান পরিচালক বেসরকারি সংস্থাগুলি।

তবে কেন্দ্রের সরকার পদক্ষেপ না নিলেও তড়িঘড়ি বিমান সংস্থাগুলির জন্য বার্তা দিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah)। ফিরতি পর্যটকদের সংখ্যার তুলনায় বিমানের সংখ্যা কম হওয়ায় চরম হয়রানির মুখে পড়েন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা। ওমর আবদুল্লা বিমান সংস্থাগুলিকে বিমানের সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ জানান। সেই সঙ্গে বিমানের টিকিট বাতিলের টাকা নিয়ে মানবিক সিদ্ধান্ত নেওয়ারও অনুরোধ জানান।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version