জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ বাংলার সন্তান ঝন্টু আলি শেখ। পহেলগামে (Pahalgam) নৃশংস জঙ্গি হানার পরে ভারতের তরফ থেকে কাশ্মীরে লুকানো জঙ্গিদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে যে তৎপরতা শুরু হয়েছে তারই সৈনিক ছিলেন নদিয়ার ঝন্টু। ভারতীয় সেনার প্যারা স্পেশাল ফোর্সের (Para Special Force) ঝন্টুর দেহ শনিবার অনেক রাতে এসে পৌঁছায় কলকাতা বিমান বন্দরে। ভাইয়ের দেহ গ্রহণ করে ঝন্টুর বড়দাদা, ভারতীয় সেনার আরও এক জওয়ান রফিকুল শেখ জানান, তিনি ভাইয়ের বলিদানে গর্বিত সেই মায়ের জন্য যাঁর দুই সন্তান দেশের সেনাবাহিনীতে রয়েছে। বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত।

নদিয়ার তেহট্টের সীমান্তবর্তী গ্রামের কৃষক পরিবারের ছোট ছেলে ঝন্টু আলি বৃহস্পতিবার শহিদ (martyr) হওয়ার পরে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার রাতে তাঁর মরদেহ বিমান বন্দরে আসার অপেক্ষায় ছিলেন নদিয়ার মানুষ। ছিলেন দাদা সুবেদার রফিকুল। তিনি জানান, দেশের জন্য প্রাণ দেওয়ায় (martyr) গোটা পরিবার গর্বিত ঝন্টুর জন্য। যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক হলেও এতেই তাঁরা গর্ব অনুভব করেন। পাকিস্তান জঙ্গিদের দিয়ে যে কাজ করাচ্ছে তার জবাব তারা ভারতীয় সেনার হাত দিয়েই পাবে, দাবি রফিকুলের।


ইতিমধ্যেই রাজ্যের আরও এক বিএসএফ (BSF) জওয়ান হুগলির পূর্ণমকুমার সাউ পাকিস্তানের হাতে বন্দি। সেই কথা স্মরণ করিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানান, বাংলার, বাঙালির ছেলেরা দেশের জন্য বরাবর প্রাণ দিয়েছে। যে ঘটনা পহেলগামে ঘটেছে, সেই ঘটনায় কড়া নিন্দা করেন ফিরহাদ।

–


–

–

–

–

–

–

–
