জল বন্ধে দিশাহারা শাহবাজ-বিলাবল, গুরুত্ব দিতে নারাজ ওমর

উস্কানির পথে তিনি দাবি করেন, সিন্ধু (Indus) আমাদের এবং আমাদেরই থাকবে - সিন্ধু দিয়ে হয় আমাদের জল বইবে, নাহয় ওদের রক্ত

জঙ্গি হামলার পরেই ভারতের তরফ থেকে প্রত্যাঘাত করা হবে, এমনটা যেন অপেক্ষাতেই ছিল পাকিস্তান। ২২ এপ্রিল পহেলগামে হামলার (Pahalgam attack) পর থেকেই পাক সীমান্তে উস্কানিমূলক গুলিগালাজ থেকে পাক সেনার মহড়া শুরু হয়ে যায়। তবে ভারত সিন্ধু জলচুক্তি (Indus water treaty) লঙ্ঘন করে জল সরবরাহ বন্ধ করতেই কার্যত চুপচাপ পাকিস্তান। প্রশাসন থেকে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর দাবি করে হামলায় তাদের কোনও হাত নেই। রাতারাতি সুর নরম পাকিস্তানের। এবার পহেলগামের হামলার নিরপেক্ষ তদন্তে সম্মতি দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Shahbaz Sharif)। অন্যদিকে হামলার পরই হুংকার দেওয়া ইমরান খান (Imran Khan) চুপ। যদিও পিপিপি চেয়ারম্য়ান বিলাবল ভুট্টো (Bilawal Bhutto) দাবি করেন, সিন্ধু দিয়ে জল না বইলে ভারতীয়দের রক্ত বইবে। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের মানুষের উন্নতির চিন্তায় মগ্ন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah) পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ।

পহেলগামে হামলার পরই পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান দাবি করেছিলেন ভারত কোনও ঘুরপথে হামলার চেষ্টা চালায়, তাহলে পাকিস্তান শক্ত হাতে তার প্রতিক্রিয়া ফেরৎ দেবে। সিন্ধু নিয়ে ঘোষণার পর থেকে এই সম্পর্কিত সব বক্তব্য পেশ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে হামলার দায় এড়ানোর চেষ্টা আগেই চলেছিল। এবার প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif) নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে ফের বিবৃতি জারি করেন, সাম্প্রতিক পহেলগামের ঘটনা (Pahalgam attack) ভারত-পাকিস্তানের পারস্পরিক দোষারোপের রাজনীতির আরেক উদাহরণ, যা বন্ধ হওয়া দরকার। একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসাবে পাকিস্তান নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে যে কোনও নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের জন্য প্রস্তুত।

যদিও কূটনৈতিকভাবে ভারতকে আর কোনওভাবেই দমানো সম্ভব নয়, বুঝতে পেরে উস্কানির পথে হাঁটাই রক্ষণের অস্ত্র হিসাবে বেছে নিয়েছে পাকিস্তান। নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করলেও ভারতের যে কোনও হামলার জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত বলেও তিনি দাবি করেন। পাক প্রধানমন্ত্রীর সুরে সুর মেলানোর চেষ্টা করেন পিপিপি চেয়ারম্য়ান বিলাবল ভুট্টো (Bilawal Bhutto)। উস্কানির পথে তিনি দাবি করেন, সিন্ধু (Indus) আমাদের এবং আমাদেরই থাকবে – সিন্ধু দিয়ে হয় আমাদের জল বইবে, নাহয় ওদের রক্ত। নিজের বক্তব্যকে সমর্থন করতে মহেঞ্জোদড়োর উদাহরণ টানেন তিনি। শতাব্দী প্রাচীন সভ্যতা রক্ষার দায়িত্ব পাকিস্তানের, দাবি বিলাবলের।

তবে পাকিস্তানের যে কোনও সিদ্ধান্তে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে যে জম্মু ও কাশ্মীরের উপর, সেই কাশ্মীর মুখ্য়মন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah) আদতে পাকিস্তানের বক্তব্য়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর মূল লক্ষ্য, সিন্ধু জল চুক্তি (Indus water treaty) লঙ্ঘনে আদতে কাশ্মীরের কোনও উপকার হবে কি না। যে পাকিস্তান হামলার ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দেয়নি, ভারতের উপর দায় ঠেলার চেষ্টা করেছিল, সেই পাক নেতাদের বক্তব্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ ওমর।