Thursday, June 19, 2025

পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাল স্কুল ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা 

Date:

Share post:

পরিবেশ সচেতনতা এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে স্কুল স্তরের এক ব্যতিক্রমী প্রকল্প প্রতিযোগিতার আয়োজন করল আই ই এম-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। “উদ্ভাবন, টেকসইতা ও বৃত্তীয়তা”—এই তিনটি মূল ভাবনাকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় শহরের খ্যাতনামা বিদ্যালয়ের ১০০-রও বেশি ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা।

পরিচ্ছন্ন শক্তি, বর্জ্য হ্রাস, ইকো-ডিজাইন, জল সংরক্ষণ এবং স্মার্ট কমিউনিটি উদ্ভাবনের মতো বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নির্মিত ৫টি কার্যকর প্রকল্পকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। পুরস্কৃত বিদ্যালয়গুলির মধ্যে ছিল গোবিন্দপুর রত্নেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, হালিশহর রবীন্দ্র বিদ্যা মন্দির, সন্তোষপুর ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যাপীঠ, বেহালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও শিবপুর ভবানী বালিকা বিদ্যালয়।

বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের জন্য পাঠ ভবন ও বড়িশা বিবেকানন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বিশেষ পুরস্কার লাভ করে, এবং প্রশংসনীয় কাজের জন্য ধনিচা উচ্চ বিদ্যালয়কে সম্মান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এয়ার এন্ড ওয়াটারের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক সাধন কুমার ঘোষ পরিবেশগত মূল্যবোধ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা ছোটবেলা থেকেই গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর ‘ক্যাচ দেম ইয়াং, জিরো ওয়েস্ট এন্ড সার্কুলার ইকোনমি ইন ক্যাম্পাস মিশন’-এর প্রভাবে বহু শিক্ষার্থী টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে।

আই ই এম-এর অফিস অফ সাসটেইনেবিলিটির প্রধান অধ্যাপক রাহুল বৈদ্য বলেন, “এই প্রতিযোগিতা কেবল একটি বিজ্ঞান প্রদর্শনী নয়, এটি বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানের পথে তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করার একটি মঞ্চ।”

অধ্যক্ষ অধ্যাপক অরুণ কুমার বর বলেন, “শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল শেখা এবং তা বাস্তবে প্রয়োগ করা।” আই ই এম কলকাতার ডিরেক্টর অধ্যাপক সত্যজিৎ চক্রবর্তী টেকসই উন্নয়নে তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত করতে যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তার ফলস্বরূপ ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি প্লাস্টিক-মুক্ত ক্যাম্পাস, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, সৌরশক্তি এবং পরিবেশকেন্দ্রিক গবেষণাগার গড়ে তুলেছে। এই আয়োজন আগামী দিনে তরুণ সমাজকে পরিবেশ রক্ষার পথে আরও উদ্ভাবনী ভূমিকা নিতে উৎসাহ দেবে বলেই মত আয়োজকদের।

আরও পড়ুন – অতীত থেকে শিক্ষা: আর্থিক সহায়তা স্ত্রী ও বাবা-মায়ের মধ্যে ভাগ করে দিল রাজ্য

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

spot_img

Related articles

অসংখ্য মানুষের ভালোবাসায় অস্মিকার বাঁচার লড়াই শুরু

বিরল জিনগত রোগ (genetic disease)। দিন যত এগোচ্ছিল, ১৭ মাসের ছোট্ট অস্মিকার চোখে ক্রমশই যেন অন্ধকার নেমে আসছিল।...

বুমরাহকে সমীহ করলেও ভয় পাচ্ছে না ইংল্যান্ড

জসপ্রীত বুমরাহকে(Jasprit Bumrah) ভয় পাচ্ছে না ব্রিটিশ শিবির। শুক্রবার হেডিংলিতে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে নামবে টিম ইন্ডিয়া(Team India)।...

একলাখি সোনা! দাম বাড়লো রুপোরও 

একধাপে এক লক্ষে পৌঁছে গেল সোনার দাম (Gold Rate)। দুশ্চিন্তা বাড়ল মধ্যবিত্তের। মহার্ঘ হচ্ছে রুপোও। ১৯ জুন বৃহস্পতিবার...

রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা, এক বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দশম-দ্বাদশ পরীক্ষার সুপারিশ কেন্দ্রের

জাতীয় শিক্ষানীতিতে (National Education Policy) বদল আনার পর এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার বোর্ড পরিবর্তনের জন্য ৭...