নির্বাচনের আবহে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা টুটু বোসের

নির্বাচনের(Election) দামামা বেজে গিয়েছে মোহনবাগানে(Mohunbagan)। যদিও নির্বাচনের তারিখ এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে তোরজোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার কি নির্বাচনি প্রচারে থাকতে চলেছেন টুটু বোস(Tutu Bose)? সোমবার টুটু বোসের মোহনবাগান সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার পরই শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন জল্পনা। এদিন সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন টুটু বোস(Tutu Bose)। আর তাতেই যেন মোহনবাগানের নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনার পারদ আরও কিছুটা চড়ল। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে নানান কানাঘুষোও। তবে কী ফের নির্বাচনী প্রচারে নামতে চলেছেন টুটু বোস(Tutu Bose)? যদিও এই প্রসঙ্গে তিনি এখনই কিছু জানাননি।

চলতি মাসেই মোহনবাগানের(Mohubagan) নির্বাচনী বোর্ড গঠন হয়ে গিয়েছে। প্রাক্তন বিচারপতির অসীম রায়ের নেতৃত্বাধীনেই গঠিত হয়েছে সেই কমিটি। যদিও এখনও পর্যন্ত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়নি। তবে শোনা যাচ্ছে শীঘ্রই হতে পারে তেমনটা। তবে নির্বাচনের দুই পক্ষ যে এখন থেকেই ঘুটি সাঁজাতে শুরু করেছে তা বেশ স্পষ্ট।

মোহনবাগানের সভাপতির পদে ছিলেন টুটু বোস(Tutu Bose)। কিন্তু নির্বাচন হলে কোনও না কোনও পক্ষে তো তাঁকে যেতেই হবে। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন তিনি। আর সেই বার্তাটাকেই অনেকে ফের তাঁর নির্বাচনী প্রচারে আসার ইঙ্গিত হিসাবেও দেখছেন। যদিও তিনি নিজে মুখে এখনই কিছু জানাননি।

টুটু বোস তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, “আমরা সবাই জানি যে নির্বাচন আসন্ন। অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি অসীম রায়ের নেতৃত্বে নির্বাচনী বোর্ড গঠন হয়েছে। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনের আগে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিতে চাই। আর সেই কারণেই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমার এই চিঠি লেখা। ক্লাবের নির্বাচন যেহেতু দোরগোড়ায় তাই সদস্যদের উদ্দেশ্যে আমারও কিছু বলার দরকার। কারণ কোন কমিটি আসবে, তাতে থাকবেন কারা তা ঠিক করবেন কমিটির সদস্যরা। কিন্তু সভাপতির পদে বসে থেকে আমার পক্ষে সেই কাজ করা সম্ভব নয়। আসলে সভাপতির পদ থেকে কোনও এক পক্ষের প্রচার করা উচিৎ নয়। চেয়ার কিংবা পদের অপব্যবহার করে কখনও আমি কিছু করিনি, এবারও করব না। তাই ঠিক করেছি সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেব আমি। আপনাদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে ইস্তফাপত্র গ্রহন করবেন। যাতে আমার মন যা বলছে নির্দ্বিধায় আমি আমার প্রিয় সদস্যদের বলতে পারি”।

টুটু বোসের(Tutu Bose) লেখা এই শব্দ গুলোই যেন নির্বাচনী প্রচারের জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে। দিন এখনও ঘোষণা হয়নি ঠিকই। কিন্তু মোহনবাগান(Mohunbagan) নির্বাচন ঘিরে যে জোরদার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে তা বেশ স্পষ্ট।