কানাডা জিতেই হুঙ্কার কার্নির, নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা মোদির

আমেরিকার চাপে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয়ে থাকা কানাডাকে (Canada) চাঙ্গা করতে তৈরি হয়েই এসেছেন ব্যবসায়ী প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি (Mark Carney)

মাত্র একমাস আগে যে রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নিয়েই সংকট তৈরি হয়েছিল কানাডায় (Canada), সেই দলই নির্বাচন শেষে দেশের শাসনভার পাওয়ার ক্ষমতাসীন প্রমাণিত হল। মাত্র একজন নেতৃত্বের বদলেই কানাডায় ফের লিবেরালদের জয় জয়কার। যার ফলস্বরূপ প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার মার্ক কার্নি (Mark Carney)। আর ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত স্পষ্ট হতেই আমেরিকাকে কড়া হুঁশিয়ারি নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কার্নির। অন্যদিকে ক্ষমতার শেষ পর্বে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Trudeau) সঙ্গে যেভাবে সম্পর্ক খারাপের দিকে গিয়েছিল ভারতের, কার্নি ক্ষমতায় আসতেই সেই সম্পর্ক মেরামতির কাজ শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তবে এই নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন কানাডার খালিস্তানপন্থী নেতা জগমিত সিং, যা কানাডাবাসী ভারতীয়দের জন্য অবশ্যই সুখবর।

মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলপ্রকাশ শুরু হতেই লিবেরালদের জয়ের আভাস স্পষ্ট হতে শুরু করে। ওটাওয়া (Ottawa) শহরে জয় উদযাপনও শুরু করে দেয় লিবেরালরা। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ১৭২ আসন পাওয়া সম্ভব হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও দ্বিতীয় দল কনসার্ভেটিভের থেকে অনেক এগিয়ে লিবেরালরা। নেতৃত্বের দাবি, ট্রুডোর মার্কিন ভীতির নীতি থেকে সরে এসে লিবেরাল পার্টিকে (Liberal Party) নতুন রসদ জুগিয়েছিলেন কার্নি (Mark Carney)। তাই কানাডার মানুষ তাঁর প্রতিই আস্থা রেখেছেন।

নির্বাচনে জয়ের খবর পেতেই নিজের জয়সূচক বক্তব্যও দিয়ে ফেলেন কার্নি। সেখানে আহ্বান করেন, কারা কানাডার জন্য আমার সঙ্গে দাঁড়াতে চান? তিনি দাবি করেন, একটি প্রশাসনের সুসময়ের অপেক্ষা করা কর্তব্য নয়, দুঃসময়ে পরিস্থিতি সামলানোই কর্তব্য। স্বাভাবিকভাবেই স্পষ্ট হয়ে যায়, আমেরিকার চাপে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয়ে থাকা কানাডাকে (Canada) চাঙ্গা করতে তৈরি হয়েই এসেছেন ব্যবসায়ী প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি (Mark Carney)।

তবে এবার নির্বাচনে আমেরিকার শুল্কই যে প্রধান ইস্যু ছিল কানাডায় (Canada), তা স্পষ্ট কার্নির জয়সূচক বক্তব্যেই। সেখানেই তিনি দাবি করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের দেশকে ভাগ করে দিতে চাইছেন, যাতে তারপরে তিনি কানাডা দখল করতে পারেন। তাই গোটা জাতির এখন জোটবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।

কার্নির জয় গোটা বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কানাডার যে অসম্মান ট্রুডোর শেষ সময়ে গোটা বিশ্ব দেখেছে, সেখান থেকে লিবেরালদের জয়ে ফিরিয়ে আনা বাস্তবেই বিশ্ব রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্ববহ। বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানরা অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী পদে কার্নির নির্বাচিত হওয়ার খবরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi) নতুনভাবে কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার কাজ শুরু করলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লেখেন, ভারত ও কানাডার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অভিন্ন, আইনের শাসনের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার এবং মানুষে মানুষে প্রাণবন্ত সম্পর্কের দ্বারা আবদ্ধ। আমাদের অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে এবং আমাদের জনগণের জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে আপনার সাথে কাজ করার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।