বাংলার বুকে সবথেকে বড় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আর মাত্র একদিন বাকি। দিঘা (Digha) জুড়ে উৎসবের মেজাজ। আলোক মালার সেজেছে সৈকত শহর, ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। মঙ্গলবার সারাদিন মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। অক্ষয় তৃতীয়ায় জগন্নাথ ধামের (Jagannath Dham, Digha) উদ্বোধনে প্রায় ১৪ হাজার মানুষের সমাগম হতে চলেছে। আগত অতিথিদের যাতে কোনও কোনও কষ্ট না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঠিক হয়েছে, বুধবার যাঁরা মন্দিরে যাবেন তাঁদের গরমে যাতে কষ্ট না হয়, তাই গামছা দেওয়া হবে। প্রথমে ১২ হাজার গামছার আয়োজন থাকলেও পরে ঠিক হয়, ২২ হাজার গামছা দেওয়া হবে। পর্যাপ্ত ফ্যান, বসার জায়গা, পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অতিথি আপ্যায়ন থেকে গাড়ি পার্কিংয়ের খুঁটিনাটি – সবটাই খতিয়ে দেখছেন স্বয়ং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (CM)।

মঙ্গলবার বিশ্ব শান্তি মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে দিঘায়। বিকেল চারটেয় মাহেন্দ্রক্ষণে সেই যজ্ঞে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই ঘৃতাহুতি দেবেন। মহাযজ্ঞে ব্যবহার করা হচ্ছে, ১০০ কুইন্টাল আম ও বেল কাঠ এবং ২ কুইন্টাল ঘি। যজ্ঞকুণ্ডে কলস স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন তীর্থস্থান থেকে মঙ্গল কলসে আনা হয়েছে জল। ৩০ তারিখ (বুধবার) জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার ঘুম ভাঙিয়েই প্রাণপ্রতিষ্ঠা-স্নানপর্ব ও পুণ্যাভিষেকের পাশাপাশি ৫৬ ভোগ নিবেদন করা হবে। বাংলার বুকে এই মেগা আন্তর্জাতিক ইভেন্টের দিকে নজর রয়েছে সকলের। কলকাতা থেকে দিঘা পর্যন্ত জগন্নাথ দেব ও মন্দিরের ছবি দিয়ে ১৮৫ কিলোমিটার পথে অসংখ্য তোরণ সাজানো হয়েছে। মন্দিরের একপাশে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা ও সামনের চাতালে বসার আয়োজন হয়েছে। মন্দিরের একেবারে সামনে চেয়ার ও কার্পেট পাতা হয়েছে। সোমবার নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, নচিকেতা, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়দের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ মঙ্গলবার শিল্পীদের অনুষ্ঠান রয়েছে। শিল্পপতিদের নির্দিষ্ট হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা তাও খোঁজ নিয়েছেন মমতা। জগন্নাথ ধাম (Jagannath Dham) উদ্বোধনে সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতিদেরও আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে ।

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–
