বাংলার মানচিত্রে সৈকত নগরীর নতুন পরিচিতি হতে চলেছে জগন্নাথ ধাম (Jagannath Dham) হিসেবে। বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘায় (Digha) জগন্নাথ ধামের দ্বারোদ্ঘাটন ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। তার আগে আজ মঙ্গলবার দিনভর বিশ্ব শান্তি মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১১ টা থেকে পুজো শুরু হবে। এই যজ্ঞে পূর্ণাহুতি দেওয়ার কথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। এর জন্য দু’ কুইন্টাল ঘি আনা হয়েছে। আজ বাস্তু পুজোও করা হবে। মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য রাধারমণ দাস (Radharaman Das) জানান, মূল মহাযজ্ঞের পর এদিন সন্ধেয় পুষ্প শয্যায় শায়িত হবেন জগন্নাথ দেব। ৩০ এপ্রিল জগন্নাথ, বলভদ্র সুভদ্রার পাশাপাশি রাধা কৃষ্ণের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে।

মন্দির সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে মহাযজ্ঞের জন্য পেঁড়া, খাজা, গজা, রসগোল্লা ইত্যাদি মিষ্টি তৈরিও করা হচ্ছে। পুরীতে যেরকম জগন্নাথের প্রসাদ হিসেবে খাজা দেওয়া হয়, তেমনই দিঘাতেও ঠাকুরের প্রসাদ হিসেবে পেঁড়া এবং গজা দেওয়ার কথাও আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন জগন্নাথ মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও, পুজো প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে কয়েক দিন আগে থেকেই। পুরীর মন্দিরের রাজেশ দৈতপতির নেতৃত্বে শুরু হয়েছে শান্তিযজ্ঞ। রয়েছেন ইসকনের সহ-সভাপতি রাধারমণ দাসও। ইসকনের বিভিন্ন শাখার অন্তত ৬০ জন ভক্তও মাঙ্গলিক কাজে হাত লাগিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে প্রায় এক কোটি মন্ত্রোচ্চারণের লক্ষ্যে চারটি কুণ্ডের মাঝে মহাকুণ্ড জ্বালিয়ে চলছে যজ্ঞ। গর্ভগৃহে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবতাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে জগন্নাথদেবের বসার পিঁড়ির পুজো। দুগ্ধস্নান সম্পন্ন হয়েছে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা এবং সুদর্শনের। লক্ষ্মী, বিমলা, সত্যভামা-সহ সমস্ত দেবদেবীর মূর্তিকেও দুগ্ধস্নান করানো হয়েছে। দিঘা জুড়ে মাইকে বাজছে মাঙ্গলিক সানাইয়ের সুর। সব মিলিয়ে সৈকত নগরীর আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে জগত্পতির পদধ্বনি।

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–