বাঙলার মুকুটে নতুন পালক দিঘার জগন্নাথ ধাম। বাংলার মানুষের আবেগকে শিরোধার্য করে দিঘায় হিন্দু ধর্মে সমুদ্রের মাহাত্ম্যকে ধরে রেখে দিঘাতেই জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath temple) প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। বিরোধীদের কুৎসা সত্ত্বেও সেই পরিকল্পনা সফল রূপ পেতে চলেছে বুধবার দ্বারোদঘাটনের মধ্যে দিয়ে। আর বাংলায় সেই জগন্নাথ মন্দিরের পথ চলাকে শুভেচ্ছা পুরীর (Puri) মহাসৌর পুরোহিতবর্গের। যদিও পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রীতি যাতে বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য সেখান থেকে কোনও পুরোহিতের পক্ষে দিঘায় এসে কাজ করতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।

ঈশ্বরের প্রতিষ্ঠার আলাদা করে কোনও স্থান হয় না। তিনি সর্বত্র বিরাজিত, এই ধারণার উপরই দিঘায় পুরীর মন্দিরের ঐতিহ্য ও বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতির মেলবন্ধনে জগন্নাথ মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে পুরীর (Puri) মহাসৌর পদ্মনাভ এদিন বলেন, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath temple) স্থাপনের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। বিশ্বের যে কোনও জায়গায় জগন্নাথ মন্দির স্থাপিত হতে পারে। তবে মূল মন্দিরের সংস্কৃতি ও উপাচার সংরক্ষিত থাকা প্রয়োজন। একটি নতুন মন্দিরের দ্বারোদঘাটনের সিদ্ধান্তকে সব সময় স্বাগত জানাই। মানুষের সেখানে যাওয়া উচিত।

তবে পুরীর জগন্নাথ ধামের ঐতিহ্যকে বাংলা সবসময়ই সম্মান জানিয়েছে। তাই দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন ও বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে রয়েছেন পুরীর দ্বৈতপতীরা। কিন্তু পুরীর মন্দিরের ঐতিহ্য ধরে রাখতেই যে সেখানকার পুরোহিতরা বাইরে কাজ করতে পারেবন না, তা স্পষ্ট করে দেন পদ্মনাভ মহাসৌর। তিনি জানান, পুরীর (Puri) মন্দিরের উপাচার (rituals) যদি সর্বত্র মানা হয় তবে পুরীর নিজস্বতা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অন্যত্র কাজ করা থেকে পুরীর পুরোহিতদের বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরীর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েই, দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দায়িত্বে থাকবেন ইসকনের পুরোহিতরা।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
