অপেক্ষার অবসান। অক্ষয় তৃতীয়ার মাহেন্দ্রক্ষণে বুধবার বাংলার বুকে সব থেকে বড় জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple Digha)উদ্বোধন করতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হাতে মাত্র আর কয়েক ঘণ্টা। শেষ মুহূর্তে সব ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। মঙ্গলবার পূর্বসূচি অনুযায়ী মহাযজ্ঞে শামিল হন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য, দেশ তথা বিশ্বের শান্তি মঙ্গল কামনায় পূর্ণাহুতি দেন নিজের হাতেই। এরপর আজ মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই মন্দিরের দ্বারোদঘাটন ও জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বিধান অনুযায়ী সব নিয়ম পালিত হবে বলে জানিয়েছেন রাজেশ দৈতাপতি। সকাল থেকেই পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার দিকে নজর রাখছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
সৈকত নগরীতে আজ আন্তর্জাতিক মেগা ইভেন্ট ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। দিঘায় (Digha) উপস্থিত সকলেই বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যের বুকে এক অসাধারণ শিল্পকীর্তি তৈরি হয়েছে যাতে মিশেছে ধর্মীয় ভাবাবেগ আর পর্যটনের গরিমা। পুরী , ইসকনের পূজারী থেকে শুরু করে দক্ষিণেশ্বর, বেলুড় মঠ (Belur math) , কামারপুকুর, জয়রামবাটী থেকেও সন্ন্যাসী ও ধর্মপ্রাণ মানুষেরা দিঘায় উপস্থিত হয়েছেন। মঙ্গলবার মহাযজ্ঞে ‘মা মাটি মানুষের গোত্রে’ ঘৃতাহুতি দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তাঁর কথায়, ‘যতটা সম্ভব অন্তর দিয়ে, হৃদয় দিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি। এরপরই তিনি বলেন, ধর্ম মুখে প্রচার করে হয় না। ধর্ম হৃদয় দিয়ে ছুঁয়ে যায়, ধর্ম হল মানুষের আস্থা-ভরসা, বিশ্বাস এবং ভালবাসা।’ আজ দুপুরে দ্বারোদ্ঘাটন হবে। তারপরে জগন্নাথধাম ভক্ত এবং পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে খবর মিলেছে। উদ্বোধনের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে। মঙ্গলেই দিঘা পৌঁছেছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী, নচিকেতা, অদিতি মুন্সি, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় (Dona Ganguly), অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভলি মৈত্র থেকে শুরু করে অভিনেতা অরিন্দম শীল, প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবজ্যোতি মিশ্র, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, গার্গী রায়চৌধুরী, উমেশ চৌধুরী, রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, দেবাঞ্জন মণ্ডল, মায়াঙ্ক জালান। সন্ধ্যায় পৌঁছে যান তারকা সাংসদ দেবও (Dev)৷ এছাড়াও রাজ্যের মন্ত্রী ও আধিকারিকরাও পৌঁছে গেছেন বাংলার জগন্নাথ ধামে। রীতি আচার মেনে সকাল থেকেই পুজো প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–