কলকাতার বড়বাজারের হোটেলে আগুন (Fire update in Kolkata) লাগার ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফলপট্টির ঘিঞ্জি এলাকায় যে অগ্নিকাণ্ড ঘটে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের দশটি ইঞ্জিনকে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে তবে পুরোপুরি নেভেনি বলেই খবর। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫। বুধবার ভোর ৩টে পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), রাজ্যের নারী এবং শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Sashi Panja) এবং কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মা (Manoj Verma)। কী ভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করা হয়েছে বলে কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

দমকল সূত্রে জানা গেছে, মেছুয়া পট্টির যে হোটেলে আগুন লেগেছে তার আশপাশে প্রচুর দোকান ও বাড়ি রয়েছে। হোটেলটিতে ৪২টি রুমে ৮৮ জন বোর্ডার ছিলেন, কর্মী সংখ্যা ৬০। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে বেশ কয়েক জন হোটেলের কার্নিশে উঠে পড়েন। দমকলের মই দিয়ে তাঁদের নামানো হয়। এ রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের কয়েকজন বাসিন্দাও হোটেলে ছিলেন। যাঁরা আটকে ছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রবল ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে মারা গিয়েছেন বলে খবর। আনন্দ পাসোয়ান (Anand Paswan)নামে এক ব্যক্তি আগুন থেকে নিজেকে বাঁচাতে উপর থেকে ঝাঁপ দেন। তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ১৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–
