মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের সাড়া দিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে সস্ত্রীক গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেই বিষয় নিয়ে দলবদলু বিজেপি (BJP) নেতারা দিলীপকে কটাক্ষ করেন। এর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার গর্জে ওঠে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। দিলীপের অবস্থানের প্রশংসা করে স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

এদিন দিঘায় মর্নিংওয়াকে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যাঁরা বিজেপির উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেঁচে আছে, তাঁদের কাছ থেকে রাজনীতি শিখবো না।“ টানা সাড়ে আট মিনিটের বক্তব্যে শুভেন্দু -সৌমিত্রকে তুলোধোনা করেছেন বিজেপি নেতা। সেই বক্তব্য নিয়ে নিজের পোস্টে কুণাল ঘোষ লেখেন –

“দিঘায় আজ সমুদ্রের গর্জনকে ছাপিয়ে গেল দিলীপ ঘোষের গর্জন। বিজেপির একাংশকে ধুয়ে দিলেন তিনি। তিনি বলেন – আমার এত বছরের সাধনার জীবন, যারা নিজেদের ধান্দায় অন্য দল থেকে এসেছে, তাদের কাছে বিজেপি শিখব না। যারা মমতা ব্যানার্জির আঁচলে বড় হয়েছে, তারা নিজেদের ধান্দায় বিজেপিতে এসেছে। বিজেপিকে যে সাফল্য এনে দিয়েছিলাম, এখন সেসব নেই কেন? জনপ্রতিনিধি কমছে। বিজেপির স্বাদ চলে গেছে। ২০২১ থেকে জেতার অভ্যেস চলে গেছে দলের। মানুষ ভরসা রাখতে পারছেন না। অন্য দল থেকে অনেকে কামাতে এসেছেন। করে খাচ্ছেন। সৌজন্য আর লড়াই আলাদা। প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীজি যে মমতা ব্যানার্জির মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে এসেছিলেন, আমি সেই সংস্কৃতির লোক। অপসংস্কৃতি ঢুকে দলটার ক্ষতি করছে। যারা চারটে বিয়ে করে, দিনের জীবন রাতের জীবন আলাদা, তারা ত্যাগীভোগীর জ্ঞান দিচ্ছে। যারা আজ অন্য দল থেকে এসে জ্ঞান দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়েই দলকে বড় করেছিলাম। হিন্দু, সনাতন যারা বলছে, এতদিন কোথায় ছিল? কী তাদের অবদান? বিজেপি কর্মীরা হতাশ হবেন না। বিশ্বাস রাখুন। যতদিন বিশ্বাস ছিল, দল এগিয়েছে। সন্দেহের পরিবেশ ঢুকেই দলের ক্ষতি হচ্ছে। আমার গা কাটলে বিজেপির রক্ত বেরোবে। বিজেপিতে থাকব। বিজেপি যতদিন কাজ দেবে করব। আমি মানুষের মধ্যে থাকি।“

কুণাল আরও লেখেন, “ওদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক কুৎসাকারীর পোস্টে কমেন্ট করে সেটাকেও ধুয়ে দিয়েছেন দিলীপবাবুর স্ত্রী রিঙ্কু। কার টাকায় এসব করেন বলে প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন।“

দিঘায় সাড়ম্বরে উদ্বোধন করা হয় জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple)। রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণকে ‘সম্মান’ জানিয়ে নববিবাহিতা স্ত্রী রিঙ্কু ঘোষকে নিয়ে সেখানে পৌঁছন দিলীপ। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সেই মন্দিরে পৌঁছন দিলীপ। তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। মন্দির চত্বর তাঁকে ঘুরে দেখান অরূপ-কুণাল। এদিন দিলীপের মন্তব্যের প্রশংসা করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।

–

–
–

–

–

–

–

–

