দিঘার পুণ্যভূমি জগন্নাথধামের দ্বারোদ্ঘাটনের দিন পাল্টা সনাতনী সভার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সনাতনী সভায় লোক নেই। তা দেখেই আর্তনাদ শুরু তথাকথিত সনাতনীদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, সভায় লোক আসছে না, আরেকটু হলেই কেঁদে ফেলবে গো! আবার তৃণমূলের আইটি সেলের চেয়ারম্যান দেবাংশু ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ২৫ হাজার স্টকের খোঁচা দিয়ে লেখেন, প্রভুর সাথে কি আর ইগোর লড়াই চলে রে পাগলা? বলে কি না, পালাবেন না… আরও ২৫ হাজার স্টকে আছে! হাসব না কাঁদব!

কাঁথিতে সনাতনীদের সম্মেলন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে আয়োজন হয়েছে। সেই সম্মেলন ব্যর্থ। লোক প্রায় নেই। যাঁরা এসেছেন তাঁরাও চলে যাচ্ছেন। সেই অনুষ্ঠানের বক্তব্যের একটি অংশ তুলে ধরে দেবাংশু লেখেন, জগন্নাথ মন্দিরের বিরোধিতা করতে গিয়ে একই দিনে সনাতনী সম্মেলন ডেকেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী! সেই সম্মেলনের অবস্থা দেখুন। লোক চলে যাচ্ছে দেখে সনাতনী সভা থেকে কার্তিক মহারাজের হুঙ্কার, সামনে দাঁড়ান। কিছু সময় পরে প্রসাদ বিতরণ শুরু করব। আমরা প্রসাদের ব্যবস্থা যথেষ্ট রেখেছি। প্রচুর রান্না করা হয়েছে। ২৫ হাজার মানুষের রান্না। আরও ২৫ হাজার স্টক আছে। বার বার বলা হচ্ছে এখান থেকে ঘোষণা করব তারপর প্রসাদ নিতে যাবেন। আমরা সব জায়গায় দেখেছি আমাদের এই সনাতন হিন্দু ধর্মের মানুষ মন্দিরে গেলে মন্দিরে যাওয়ার নাম নেই প্রসাদ খেতে বসে গেলেন। মুসলিমদের থেকে শিক্ষা নিন। তাঁরা একমাস রোজা রাখেন। একটু জলও খায় না। আর আমাদের এত বড় আয়োজন। আমরা আগে সবাই চলে যাচ্ছি প্রসাদ খাওয়ার জন্য। প্রসাদ কি আমরা পাই না। লজ্জা লাগছে, বাঙালি হিন্দু হিসাবে পরিচয় দিতে। আজকে একটু দাঁড়ান। হাজারে হাজারে লাইন দিয়ে চলে যাচ্ছেন একবার মঞ্চে এলেন না, যজ্ঞ সভায় এলেন না, সাধু দর্শনে এলেন না। তারপর অপর একজনকে মাইকে বলতে শোনা যায়, আমার বিনম্র অনুরোধ আমরা সবাই প্রসাদ পাব। আগে মনটা ভরে যাক তারপর পেটটা ভরবে। তাঁদের এই বচন শুনে স্পষ্ট যে, অনুষ্ঠানের তুলনায় প্রসাদ খাওয়ার দিকে বেশি আগ্রহ। এনিয়ে খোঁচা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও দেবাংশু ভট্টাচার্যের। এই ভিডিওই প্রমাণ কাঁথির রেল ময়দানে সনাতনীদের সম্মেলন কার্যত ব্যর্থ। শুভেন্দু অধিকারী, কার্তিক মহারাজরা সুপার ফ্লপ। প্রসাদ খেয়েই সবাই পগার পার।

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–

–
