পিছু হঠব না: মানহানি মামলায় স্পষ্ট জবাব তৃণমূল সাংসদ সাকেতের

0
384

বিজেপি আমলে বিজেপি নেতা নেত্রীদের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠার কাহিনী নতুন কিছু নয়। কিন্তু তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেই জারি হয় স্বৈরাচারী খাড়া। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর (Hardeep Singh Puri) ও তার স্ত্রী লক্ষী পুরীর (Lakshmi Puri) আর্থিক সমৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই তৃণমূল সংসদ সাকেত গোখেলের (Saket Gokhale) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন পুরি। মামলা ২০২১ সালের। অথচ লোকসভায় একক সংকট গরিষ্ঠতা হারানো বিজেপি খোঁচা খাওয়া বাঘের মত বিরোধীদের দমন করতে সচেষ্ট। তাই এত বছর পরে সাংসদ সাকেতের বেতন কেটে নেওয়ার নির্দেশকে পুনর্বিবেচনার আরজিও খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court)। পাল্টা শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের বার্তা তৃণমূল সংসদের।

স্যোশাল মিডিয়ায় ইউনাইটেড নেশন্সের প্রাক্তন ভারতীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল লক্ষ্মী পুরীর বিরুদ্ধে তাঁর সুইজারল্যান্ডের সম্পত্তি নিয়ে পোস্ট করেন সাকেত। তিন ইডি-র তদন্তও দাবি করেছিলেন। সেই সময় পাল্টা মানহানির মামলা করেন লক্ষ্মী। সেই মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট তৃণমূল সাংসদ সাকেতকে ক্ষমা চাওয়া ও পোস্ট মুছে ফেলার নির্দেশ দেয়।

নিজের অভিযোগে টিকে থাকা সাকেত আদালতের কোনও নির্দেশ মানেননি। এরপরই ২৬ শে এপ্রিল সাকেতের বেতন কেটে নেওয়ার নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। পাল্টা নির্দেশের পুনর্বিবেচনার দাবি জানান সাকেত (Saket Gokhale)। শুক্রবার সেই আবেদনও নাকচ করে দেয় আদালত।

এর পাল্টা সাকেত দাবি করেন, গত মাসে সংসদে অমিত শাহর (Amit Shah) চোখের সামনে আয়না তুলে ধরার প্রতিক্রিয়া যে হবে তা প্রত্যাশিত ছিল। বিশেষত যখন সেই বাণ এমন একজন হেনেছেন যাকে শাহ আগে জেলে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু আমিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৈনিক। আমি কোনভাবেই পিছু হঠব না, দাবি সাকেতের।