ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ জেলা। হিংসার ঘটনায় বহু মানুষের বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, নষ্ট হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথিপত্র। তবে এই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার।

নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার নিজে মুর্শিদাবাদে যাবেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে সরাসরি ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেবেন। তার আগে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জেলার প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া শতাধিক পরিবারের সরকারি নথি দ্রুত পুনর্নির্মাণ করতে হবে।

জেলা প্রশাসনের তরফে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। আধার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য সরকারের হাতে থাকায় তথ্য পুনরুদ্ধারে তেমন অসুবিধা হয়নি বলেই জানা গেছে। এছাড়াও ইউনিক ডকুমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর পদ্ধতি ব্যবহার করে দ্রুত নথি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

এদিকে সামসেরগঞ্জ সহ জেলার অশান্ত এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত। ক্ষতিগ্রস্তরা আশ্রয় শিবির ছেড়ে ধীরে ধীরে নিজেদের ভাঙাচোরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। “বাংলার বাড়ি” প্রকল্পের আওতায় যাঁদের বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, তাঁদের জন্য নতুন ঘর তৈরির ব্যবস্থা করবে সরকার—এমনটাও জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

সরকারি পরিষেবা থেকে কেউ বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করতেই এই বিশেষ উদ্যোগ। প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা জানান, “আমরা চেষ্টা করছি যাতে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিক স্বাভাবিক জীবনে দ্রুত ফিরে আসতে পারেন।” এই পরিস্থিতির দিকে গোটা রাজ্যের নজর রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে এলাকায় তৈরি হয়েছে তৎপরতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন – ফের ভূমিকম্প! কেঁপে উঠল নেপাল-আফগানিস্তান

_

_

_

_

_
_
_
_
_.