খড়গপুর আইআইটি-র হস্টেল থেকে মিলল আরও এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। মাত্র চার মাসের ব্যবধানে এই নিয়ে তৃতীয় মৃত্যু দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। রবিবার হস্টেলের (hostel) ঘর থেকে উদ্ধার হয় তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া মহম্মদ আসিফ কামারের দেহ। ঘটনায় মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতার ইঙ্গিত দাবি কর্তৃপক্ষের। তবে নিরাপত্তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে ১৫ দিনের মধ্যে হস্টেলে দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায়।
খড়গপুর আইআইটি-র (Kharagpur IIT) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া মহম্মদ আসিফ কামার বিহারের (Bihar) বাসিন্দা। শনিবার সন্ধ্যায় হস্টেলের তার নিজের ঘর থেকেই তার দেহ ঝুলতে দেখেন কর্তৃপক্ষ। অথচ ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল আসিফ, দাবি কর্তৃপক্ষের। সেখানেই উঠে এসেছে এক মহিলার ফোনের প্রসঙ্গ।
শনিবার সারাদিন বা সন্ধ্যাতেও আসিফের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেননি হস্টেলের সহপাঠীরা। শনিবার সন্ধ্যা থেকে অবশ্য আসিফকে বাইরে বেরোতে দেখা যায়নি। পরে আইআইটি (Kharagpur IIT) কর্তৃপক্ষের কাছে এক মহিলার ফোন আসে। যেখানে বলা হয় হস্টেলে কোনও পড়ুয়া আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। এরপরই আসিফের ঘরে গিয়ে ঝুলন্ত দেহ (hanging body) দেখতে পান সহপাঠী ও কর্তৃপক্ষ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, দিল্লি নিবাসী কোনও এক মহিলার সঙ্গে ভিডিও কল করেছিলেন বিহারের (Bihar) আসিফ। এরপরই সে চরম সিদ্ধান্ত নেয়। ওই মহিলা কে তা নিয়ে খোঁজ শুরু খড়গপুর পুলিশের। দেহ ময়নাতদন্তের জন্যও পাঠানো হয়। তবে একবার ১২ জানুয়ারি, তারপরে ২১ এপ্রিল ও এবার ৪ মে যেভাবে খড়গপুর আইআইটি-তে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল, তাতে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষও। ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের পথে আইআইটি কর্তৃপক্ষ।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–