মোদির(Narendra Modi) আচ্ছে দিনে বিশ্বমঞ্চে চরম লজ্জার সম্মুখীন ভারত(India)। স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার ভারতের আন্তর্জাতিক মান পতনের মুখে দাঁড়াল। খোদ রাষ্ট্রসঙ্ঘের(UNO) রিপোর্ট অনুযায়ী মানবাধিকার রক্ষায়(Human Rights) ভারতের আন্তর্জাতিক মান নেমে আসছে এ গ্রেড থেকে বি গ্রেডে। বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন, রাষ্ট্রদ্রোহের নামে মামলা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব-সহ একাধিক মানবাধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আওতাধীন মানবাধিকার কমিশন। তার ফলেই বিশ্বমঞ্চে অবনমিত হচ্ছে ভারতের মান।
আন্তর্জাতিক মহলই এক্ষেত্রে কাঠগড়ায় তুলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। অভিযোগ করছে, ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে এখন বিজেপি রাজনৈতিক অস্ত্রে পরিণত করেছে। জাতিসংঘ তার ভিত্তিতেই স্পষ্ট বলে দিল, ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ‘এ’ ক্যাটিগরি থেকে ‘বি’তে নামবে। এ তো দেশের লজ্জা! মোদিজির নেতৃত্বে দেশের ‘গণতন্ত্র’ নামের মুখোশ একে একে খুলে পড়ছে। বিজেপির নোংরা রাজনীতির জেরে বিশ্বমঞ্চে ‘অপমানিত’ হচ্ছে ভারত। কারণ, আন্তর্জাতিক নীতি মেনে কাজ করছে না ভারতের মানবাধিকার কমিশন। তারা শুধুমাত্র রাজনৈতিক রং দেখে কাজ করছে। ফলস্বরূপ দেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে জাতিসঙ্ঘে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমাজ মাধ্যমে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, আমরা বরাবরই বলে এসেছি, কেন্দ্রীয় স্বশাসিত সংস্থাগুলির রাজনীতিকরণ করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। জাতিসংঘের রিপোর্টে সেই বিষয়টি আরও বেআব্রু হয়ে গেল। ভারতকে মানবাধিকার রক্ষায় এ গ্রেড থেকে বি গ্রেডে নামিয়ে দিল।এই পতনের অর্থ পরিষ্কার, গণতন্ত্র রক্ষায় ব্যর্থ কেন্দ্রের মোদি সরকার।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংগঠনটি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, ভারতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা বজায় রাখা হচ্ছে না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরোধী কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখার অভিযোগ উঠলেও মানবাধিকার কমিশন তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। বহু মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা হয়েছে। কমিশন সেখানে হস্তক্ষেপ করেনি। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হলেও কমিশন কোনও পদক্ষেপ করেনি। এরপর জিএএনএইচআরআই-এর ৪৫তম অধিবেশনে ভারতের মানবাধিকার কমিশনের মর্যাদা হ্রাস করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনের সদস্যপদ বণ্টনের ক্ষেত্রেও বহুত্ববাদের নীতি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। মোদি সরকার নারী ক্ষমতায়নের কথা মুখে বললেও সদস্যদের মধ্যে মাত্র একজন মহিলা। ৩৩৯ জন কর্মীর মধ্যে ৯৩ জন মহিলা। এই সংখ্যাও যথেষ্ট নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংগঠনটি। ২০২৩ সাল থেকেই ভারতের মানবাধিকার কমিশনের কাজের উপর নজর ছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের। দু’বছর কোনও গ্রেড দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত অবনমনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–