পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিরা পহেলগামে নির্দিষ্ট ধর্মীয় ক্ষেত্রে আঘাত করেছিল, যা ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ভাঙার একটি ব্যর্থ চেষ্টা বলে দাবি করা হয়েছিল ভারতের তরফে। কার্যত পাকিস্তানও যে ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করে ভারতের ঐক্য নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে তা পাকিস্তানের আঘাতের পন্থাতেই স্পষ্ট, দাবি বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রির (Vikram Misri)।

৭ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে (Poonch) একটি খ্রীষ্টান স্কুলে পাক মর্টার হানার উদাহরণ তুলে ধরে বিক্রম দাবি করেন, কারমেল মেরি ইম্মাকুলেট-এর অন্তর্গত একটি খ্রীষ্টান স্কুলে পাকিস্তানের মর্টার হানা হয়। যেখানে দুই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। তাদের বাবা-মা গুরুতর আহত হন।

অন্য আরেকটি ঘটনার উল্লেখ করে তিনি জানান, কনগ্রেগেশন অফ দ্য মাদার অফ কারমেলের অন্তর্গত খ্রীষ্টান (Christian) নানদের কনভেন্টে পাকিস্তানের গোলা বর্ষণ হয়। সেখানে খ্রীষ্টান ধর্মগুরু ও স্থানীয় বাসিন্দারা কনভেন্টের বেসমেন্টে আশ্রয় নেন। তার ফলেই তাঁরা বেঁচে যান।

এই প্রসঙ্গেই তিনি পুঞ্চে গুরুদ্বারায় (Gurudwara) হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন, যেখানে তিন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। গোটা বিষয়টিকে এক সারিতে বসিয়ে ভারতের বিদেশ সচিব দাবি করেন, খ্রীষ্টান (Christian) স্কুল, গুরুদ্বারা (Gurudwara), মন্দির – পাকিস্তানের তরফ থেকে হামলা চালানো হচ্ছে ধর্মীয় উপাসনার স্থানে, যা একটা আলাদা পদ্ধতি অবলম্বন করেই করা হচ্ছে।

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–