পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের (JeM) হাতে নৃশংসভাবে খুন হন মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল। ২০০২ সালের সেই ঘটনায় প্রত্যক্ষ প্রত্যাঘাত আমেরিকার পক্ষেও নেওয়া সম্ভব হয়নি। পাক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে ভারতের অভিযানেই বাস্তবে সেই প্রত্যাঘাত সফল হল, দাবি ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রির (Vikram Misri)। যেভাবে বাহওয়ালপুর (Bahawalpur) সুভান আল্লা মসজিদে হামলা চালানো হয় ভারতের তরফ থেকে, সেখানেই নিহত ড্যানিয়েল পার্ল (Daniel Pearl) হত্যার সঠিক বদলা বলে দাবি করা হয়।

পাকিস্তানের বাহওয়ালপুরের সুভান আল্লাহ মসজিদই ছিল জইশ (JeM) জঙ্গিদের হেডকোয়ার্টার। সেই জইশ-ই যে মার্কিন সাংবাদিক হত্যায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল তা উল্লেখ করে বিক্রম মিশ্রি বিদেশ মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিষিদ্ধ ঘোষিত জইশ-ই-মহম্মদের হেডকোয়ার্টার ছিল বাহওয়ালপুর। এই দলের নেতা মৌলানা মাসুদ আজহার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি। জইশ (JeM) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ড্যানিয়েল পার্লের (Daniel Pearl) হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু এই হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী জেহাদি আহমেদ ওমর সৈয়দ শেখ।

২০০২ সালে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দক্ষিণ এশিয়ার ব্যুরো চিফ ড্যানিয়েল পার্লকে অপহরণ করে জইশ-ই-মহম্মদ। ভারত এর আগেও পার্লের হত্যার সঙ্গে জইশ-ই-মহম্মদের যোগের দাবি করেছে বিশ্ব দরবারে। এবার তা-ই প্রকাশ্যে তুলে ধরে বিক্রম মিশ্রি আরও বলেন, ওমর সৈয়দই ড্যানিয়েল পার্লকে প্রলুব্ধ করেছিল যা তাকে পরে তাকে হত্যার দিকে ঠেলে দেয়। এই ওমর সৈয়দকেই ভারত গ্রেফতার করেও ২০০০ সালে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল। সুতরাং এই সবকিছুই নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে যে এই সংগঠনগুলি পরস্পর যুক্ত। তাই বাহওয়ালপুরের (Bahawalpur) এই জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা সেই নৃশংস হত্যার যথাযথ উত্তর বলেই আমরা মনে করি।

–

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–