পহেলগাঁওয়ের বদলায় পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে প্রত্যাঘাত করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর সেই সাফল্য নিয়ে উপহাস করে সিপিএম। তারই পাল্টা কড়া সমালোচনায় সিপিএমকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল।

পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ভারতীয় সেনাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপহাস করে সিপিএমের উঠতি নেত্রী। উপহাসের সুর ছিল সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়কের গলাতেও। তার পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, সেনাতে থাকা ছেলেমেয়েদের জন্য যখন আমরা গর্বিত, তখন সিপিএমের এক নবপ্রজন্মের নেত্রীকে দেখলাম সম্পূর্ণ উল্টো কথা পোস্ট করলেন। যার অর্থ সেনাবাহিনীর দরকারই নেই। সিপিএমকে তুলোধনা করে তিনি বলেন, সিপিএমের সঙ্গে জাতীয়তাবোধ, দেশপ্রেম কেন মেলানো যায় না, এইসব সময়েই তা বোঝা যায়।

শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী হয়ে গো-হারা হন দীপ্সিতা ধর। সেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেশবাসীর উদ্দেশে কটাক্ষ করে ‘যুদ্ধের চিয়ার লিডার’দের আর্মিতে নাম লেখাতে বলেন। ওই বিতর্কিত পোস্টের পর বালির প্রাক্তন বিধায়ক কনিকা গঙ্গোপাধ্যায় তা নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেন। লন্ডনে বসে ফেসবুকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ লেখেন, ভারত-চিন যুদ্ধের সময়ে তৎকালীন বাম নেতাদের একাংশ খাস কলকাতায় দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে চিনের হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন। তৃণমূলের সেই পাল্টা বার্তা ভাইরাল হয়ে যায়। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে ফেসবুক থেকে সেই পোস্ট সরিয়ে দেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক। এরপর কটাক্ষের সুরে দিদি সম্বোধন করে কুণাল লেখেন, দেশবাসীকে চিয়ার লিডার বলা পোস্ট উধাও কেন? শেয়ার করলেন, অপপ্রচার ছড়ালেন, সেটা লজ্জায় তুলে নিতে হল? আঁতলামির বিপ্লব শেষ? দেশ যখন এককাট্টা, সেনাবাহিনী যখন ব্যাট করছে, তখন উল্টো কথা বলার অভ্যাসটা ছাড়ুন।
আরও পড়ুন – রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উস্কানি! এসটিএফ-এর জালে ২ যুবক

_
_

_

_

_

_


_

_

_

_

_