ভারতে পাকিস্তানের মদতে জঙ্গি হানার পরেই ভারতের তরফ থেকে অপারেশন সিন্দুর জারি করা হয় ৮ মে মধ্যরাতে। তবে জঙ্গিদের মদত দেওয়া পাকিস্তান স্বাভাবিকভাবে সেই পদক্ষেপ মেনে নিতে না পেরে একটানা ভারতের উপর হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতীয় সাধারণ নাগরিক থেকে সামরিক ঘাঁটির (army cantonment) উপর টানা তিনদিন ধরে গোলা বর্ষণ ও ড্রোন (drone) হামলা চালাতে থাকে পাকিস্তান। পাকিস্তানের হামলা রুখতে তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক করতে একাধিক আন্তর্জাতিক শক্তি মধ্যস্থতার চেষ্টা চালায়। শনিবার দুপুরে পাক সেনার (Pakistan Army) ডিজি ভারতীয় সেনার (Indian Army) ডিজি-কে ফোন করে গোলাগুলি থামানোর আশ্বাস দেন। এরপরই ভারতের তরফ থেকেও সংঘর্ষ বিরতির (cease fire) বার্তা দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ১২ মে পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্তই কার্যকর থাকবে। এরপর আবারও সেনা প্রধান পর্যায়ের বৈঠক হবে বলে জানান, বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি (Vikram Misri, foreign secretary)।

শনিবার দুপুর ৩.৩৫ নাগাদ পাকিস্তান সেনার ডিরেক্টর জেনারেল ভারতীয় সেনার ডিরেক্টর জেনারেলকে ফোন করেন। এরপরই দুই দেশই সব ধরনের সামরিক পদক্ষেপ থেকে বিরত (cease fire) থাকতে রাজি হয়েছে, জানান বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। শনিবারই বিকাল ৫টা থেকে দুই দেশের মধ্যে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।

দুই দেশের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত হওয়ার পরই সেই নির্দেশ দুই দেশের তরফে কার্যকর করা হয় বলেও নিশ্চিত করেন ভারতের বিদেশ সচিব। ১২ মে বেলা ১২টার সময় ফের দুই দেশের সেনার ডিরেক্টর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক হবে বলে জানান বিদেশ সচিব। ভারতের তরফ থেকে অপারেশন সিন্দুরের পরই দাবি করা হয়েছিল, জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দেওয়া পাকিস্তান বন্ধ না করলে ভারতের তরফ থেকে প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে। ভারতের সামরিক থেকে সাধারণ নাগরিক জীবনে মানুষ খুনের পথে হেঁটেও গোলা বর্ষণ থামায়নি পাকিস্তান। আমেরিকা, ইরান, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতো বিশ্ব নেতৃত্ব সংঘর্ষের পথ থেকে সরে আসার অনুরোধ জানায়। সব ক্ষেত্রেই ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারত সংঘর্ষ বাড়ানোর পথে কখনই হাঁটেনি। পাকিস্তানের তরফ থেকে হামলা থামানো হলেই ভারতও দায়িত্বশীল পদক্ষেপই নেবে জানানো হয় ভারতের তরফে।

সংঘাতের পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে পাঁচ পদক্ষেপ ভারত নিয়েছিল তা অব্য়াহত রাখছে ভারত। সেক্ষেত্রে সিন্ধু জল চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে না ভারত, জানাচ্ছে বিদেশ মন্ত্রক। এমনকি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যে নীতি নিয়ে চলছিল ভারত তাতে কোনও ব্যতিক্রম হবে না বলেও জানানো হয়।

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–