ভারতের পশ্চিম সীমান্তে লাগাতার প্ররোচনা পাকিস্তানের। ড্রোনের পাশাপাশি এবার ভারী আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা (Pakistan tried Missile attack) চালানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। শনিবার সকালে ভারতের বিদেশসচিব এবং সেনার তরফে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয় আর্টিলারি গান এবং ড্রোন (Drone) দিয়ে ২৬ টি বেশি জায়গায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। রাত ১:৪০ মিনিটে হাইস্পিড মিসাইলের সাহায্যে পঞ্জাবের এয়ারবেসে (Punjab Airbase) আক্রমনের যে চেষ্টা করেছিল পাক সেনা, তা ধ্বংস করার পাশাপাশি পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। লাইন অফ কন্ট্রোলের (LOC) ওপারে একাধিক পাকঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি (Sofia Qureshi)।
ভারতীয় সেনা (Indian Army) এবং বিদেশসচিবের যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি (Vikram Mishri), কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। এদিন জানানো হয়, নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনা মোতায়েনের সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে পাকিস্তান। শুধু ড্রোন হামলা নয় এবার পঞ্জাবের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ মিসাইল হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান, দাবি কর্নেল সোফিয়ার। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত টানা ভারতের পশ্চিম সীমান্তে আক্রমণ জারি রেখেছে পাকিস্তান। ড্রোন এবং অন্যান্য মাধ্যমে গোলাবর্ষণ চলছে। অধিকাংশ হামলায় ভারত নিষ্ক্রিয় করেছে। আদমপুর, উধমপুর, ভাতিন্ডার মতো কিছু কিছু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শ্রীনগর, অবন্তিপুর, উধমপুরে চিকিৎসাকেন্দ্র, স্কুলগুলিকে নিশানা করেছে পাকিস্তানি সেনা। অনবরত হাই স্পিড মিসাইল ছোড়া হয়েছে। ভারতের লাইন অফ অ্যাকশন প্রসঙ্গে কর্নেল সোফিয়া জানিয়েছেন, পাকিস্তানের রফিকি, মুরিদ, চাকলালা এবং রহিম ইয়ার খানে পাক সেনার এয়ারবেসে আকাশপথে ভারত হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া, সুক্কুর এবং চুনিয়ায় পাক সেনাঘাঁটি, পসরুর এবং শিয়ালকোটের বিমান ঘাঁটিতেও হামলা করা হয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–